অনলাইন ডেস্ক:
ডনাল্ড ট্রাম্প হলেন একবিংশ শতাব্দীতে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র এবং প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট যিনি দ্বিতীয়বার ক্ষমতা নিতে পারলেন না। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব প্রেসিডেন্টই দ্বিতীয়বারের নির্বাচনে জয় লাভ করেছেন। ২০১৬ সালে ট্রাম্প জেতার আগে প্রেসিডেন্ট ছিলেন বারাক ওবামা। ওবামা প্রথম জিতেছিলেন ২০০৮ সালে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছিলেন ২০১২ সালে। ওবামার আগে জর্জ বুশও দুই দফা ক্ষমতায় ছিলেন। তার আগে বিল ক্লিনটনও ছিলেন দুই দফা। ক্লিনটনের কাছেই ১৯৯২ সালে শেষবার কেউ দ্বিতীয় নির্বাচনে হেরেছিলেন, তিনি বুশ সিনিয়র।
শুধু তাই নয়। ট্রাম্পই হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট, যাকে কংগ্রেস দুইবার ইমপিচড বা অভিশংসন করেছে।
বুধবার কংগ্রেসের ভোটাভুটিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন প্রস্তাব পাস হয়েছে। ২০১৯ সালেও ‘ইউক্রেন কেলেঙ্কারি’র কারণে কংগ্রেসে ট্রাম্পকে প্রথম দফা অভিশংসন করা হয়েছিল।
শুধু তাই নয়। ট্রাম্প দুইবারই পপুলার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কাছে হেরেছেন। এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পকে বাইডেন প্রায় ৭০ লাখ পপুলার ভোটে হারিয়েছেন। ২০১৬ সালেও হিলারি ট্রাম্পের চেয়ে ২ লাখের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে হিলারি ট্রাম্পের কাছে হেরে গেলে ট্রাম্প-ই ক্ষমতা পান।
এখানেই শেষ নয়। ২০১৮ সালে ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালেই মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদ বা ‘হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস’-এর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল ডেমোক্র্যাটরা যার মধ্য দিয়ে তারা বিগত আট বছরে প্রথমবারের মত কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। ডেমোক্র্যাট ওবামার আমলেও যা ছিল রিপাবলিকানদের দখলে।
২০২০ সালে এসে ট্রাম্প পপুলার এবং ইলেক্টোরাল কলেজ দুই রকমের ভোটেই বাইডেনের কাছে হারেন। ২০২১ সালের শুরুতেই ট্রাম্পের ক্ষমতার একেবারে শেষের দিকে সিনেটের নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নেয় ডেমোক্র্যাটরা। ট্রাম্প কর্তৃক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরেও ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানো, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে উস্কানি দেয়া ইত্যাদি নানা কারণেই সিনেটের নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকানদের হাতছাড়া হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
সেরা টিভি/আকিব