স্টাফ রিপোর্টার:
মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত শেষ হয়েছে। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে তদন্ত শেষে সম্প্রতি ঢাকার আদালতে এই মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তাতে মামলার প্রধান আসামি জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল লতিফকে অব্যাহতি দিতে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে।
মৃত্যুজনিত কারণে তাদেরকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। তবে তিনজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা। গত ১২ জানুয়ারি ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এই মামলার প্রথম চার্জশিটভুক্ত মোট পাঁচ আসামির মধ্যে ওই দুজনকে অব্যাহতি দিয়ে মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক, লে. কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ও লে. কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামসের নামে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এরা সবাই জামিনে রয়েছেন।
আদালতের পেশকার নূর মোহাম্মদ সাংবাদিকদের জানান, এইচএম এরশাদ ও লতিফকে সম্পূরক অভিযোগপত্রে ‘মৃত্যুজনিত কারণে দায় থেকে তাদের অব্যাহতির’আবেদন জানানো হয়। অভিযোগপত্রটির ওপর শুনানির জন্য ২৫ জানুয়ারি দিন ধার্য রেখেছেন বিচারক।
চট্টগ্রামে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১ জুন মেজর জেনারেল এম. এ মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেনারেল মঞ্জুরের বড় ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ বাদি হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সেরা টিভি/আকিব