গত ২৭শে ডিসেম্বর,২০২০ আন্তর্জালিকভাবে ‘ম্যাকউইডেন এডুকেশন’ এবং ‘ফেইথ বাংলাদেশে’র যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল একটি বিশেষ ওয়েবিনার। মূল আলোচ্য বিষয় ছিল মহামারীর প্রেক্ষাপটে ই-লার্নিং বা অনলাইন শিক্ষা ব্যাবস্থার ভবিষ্যৎ। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের কিশোর ছাত্র ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেছিল। সঞ্চালনায় ছিলেন আধুনিক ই-লার্নিং-এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে খ্যাত ড: বদরুল হুদা খান এবং ম্যাকউইডেন-এর ভাইস প্রসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধি, ড: আফতাব। ।
অনুষ্ঠানের প্রারম্ভেই ড: বদরুল হুদা খান বর্তমান প্রেক্ষাপটে মহামারীর কারণে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, জীবনধারায় তার যে প্রভাব পড়ছে, তার উপর আলোকপাত করে বলেন যে, সবকিছুর পাশাপাশি বিশ্বের সমস্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যাবস্থায়ও এর প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয়। বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে নতুন করে যোগ হয়েছে অন্তর্জালিক শিক্ষা বা ভার্চুয়াল এডুকেশন সিস্টেম এবং সারা বিশ্ব জুড়ে এখন ডিজিটাল মাধ্যম বা অন্তর্জালের ব্যবহার বেড়ে গিয়েছে কল্পনাতীতভাবে এবং এছাড়া কোন উপায় মানুষের কাছে খোলা নেই, এর কোন বিকল্প নেই। তাই ই-লার্নিং বা অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় এই অন্তর্জালিক ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে অন্তর্জালের মাধ্যমে কাজ হচ্ছে, ঘর থেকে রিমোট ওয়ার্ক হচ্ছে, সামাজিক মাধ্যমে অন্তর্জাল ব্যবহার হচ্ছে, মোট কথা প্রতিটি ক্ষেত্রে এই অন্তর্জাল একটা বিরাট ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, এর জন্যই পুরো পৃথিবী সচল রয়েছে…… সরকার থেকে শুরু করে বেসরকারি এবং সামাজিক সংস্থাগুলোর সব কাজই চলছে অন্তর্জালে বা ভার্চুয়ালি। তিনি শিক্ষা ব্যাবস্থার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন যে, শিক্ষা হচ্ছে মানব সম্পদ গড়ে তোলার একমাত্র হাতিয়ার এবং এর যথাযথ ব্যাবস্থাপনা না হলে শিক্ষার ভবিষ্যৎ ভীষণভাবেন ব্যাহত হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর এই ব্যবস্থা কিভাবে প্রভাব ফেলছে, তা আলোচনার জন্যই এই ওয়েবিনার আয়োজন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ এবং যুক্ত্ররাষ্ট্র থেকে যেসব ছাত্র-ছাত্রী যুক্ত হয়েছিল, তারা হলো:
ম্যাসন রড্রিগেজ (ইলিমেন্টারী ), নাদিয়া (৭ম শ্রেণী), সারিয়া (৯ম শ্রেণী), কামিলা (হাই স্কুল), ভিভিয়ান (১২ শ্রেণী).
আলোচনার সূত্র ধরে বাংলাদেশের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সারিয়া বলেন:
অনলাইন ক্লাস বেশ ভালই চলছে, অনেক সুবিধা আছে। কিছু কিছু চ্যালেঞ্জতো আছেই কিন্তু তা তুলনামূলকভাবে ততটা প্রবাব ফেলার মতো নয়। যেসব বিষয়গুলো অনলাইন লার্নিং-এর ইতিবাচক দিক, তার উপর আলোকপাত করতে গিয়ে সারিয়া উল্লেখ করে- ঘরে বসেই ক্লাস করার বিরাট সুবিধা রয়েছে, যাতায়াতের ঝামেলা নেই… বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো জায়গায় যেখানে ট্রাফিক জ্যাম একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। ঘরে বসে কম্পিউটার-এ ক্লাস করা যাচ্ছে, ক্লিক দিয়ে যে কোন কাজ করার সুবিধা রয়েছে। ইচ্ছে মতো হোমওয়ার্ক বা এসাইনমেন্ট করা যাচ্ছে, অনলাইনে রিসোর্স পাওয়া যাচ্ছে। কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন- নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট স্পিড সবার জন্য ভালো নয়, অনেক সময় সমস্যা হয়। এই অনলাইন লার্নিং-এ ছাত্র এবং শিক্ষক সবাই নতুন। নিজেদের শিখতে হচ্ছে এবং মানিয়ে নিতে হচ্ছে। এই অনলাইন লার্নিং হয়তো শুধু বর্তমান নয়, ভবিষ্যতের জন্যও একটি বিষেয় শিক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে পরিগণিত হবে। যে বিষয়গুলো মিস করছি, তা হলো আমার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে খেলার সুযোগ নেই, আমি স্পোর্টস-এর সাথে জড়িত- বাস্কেটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি খেলি। এছাড়া সুইমিং পুলেও যেতে পারছি না, আমি সাঁতার কাটতে ভালোবাসি। তাছাড়া আমি বিভিন্ন এক্সট্রা ক্যারিক্যুলামেও জড়িত, বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে, যেমন সাইন্স ফেয়ারে যোগ দিতে পারছি না, কোন ওয়ার্কশপে যোগ দিতে পারছিনা……. এগুলো মিস করছি। তবুও বলবো, ভালো আছি এবং অনলাইন বা রিমোট লার্নিং ভালোই চলছে। শিক্ষাব্যবস্থায় কিভাবে পরিবর্তন নিয়ে আসা যায়, সেবিষয়ে সারিয়া বলে- শিক্ষা প্রদানে ভিন্নতা নিয়ে আসতে হবে, যাতে ছাত্ররা আনন্দের সাথে শিখতে পারে, তাদের মানসিক চাপ কম থাকে। নানা ধরণের রিসোর্স ব্যবহার করতে হবে শিক্ষাপ্রদান আনন্দদায়ক করার জন্য।
শিক্ষকদের আরো সচেতন এবং সহানুভূতিশীল হতে হবে ছাত্রদের প্রতি। ছাত্রদের প্রয়োজন, তাদের মানসিক এবং শারীরিক বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। আমরা তাদের দিকে তাকিয়ে আছি ।
নিউ ইয়র্ক থেকে যুক্ত হয়েছিল ক্যামিলা। ক্যামিলা তার অভজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে উল্লেখ করে:
দূরশিক্ষণ ভালোই চলছে অনলাইন লার্নিং ব্যাবস্থায়। ক্লাসমেটদের সাথে দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে। বাসায় বসে কম্পিউটারে অনেক কিছু শিখতে পারছি, অনেক রিসোর্স এক্সপ্লোর করতে পারছি সহজে। প্রয়োজনে আমাদের বাবা-মা আমাকে সাহায্য বা গাইড করতে পারছে। বাসায় সারাদিন ক্লাস করাটা একটু ক্লান্তিকর কিন্তু তার চেয়ে বেশি যে বিষয়টি উল্লেখ করতে হয়, তা হলো অনেক বেশি পরিমান হোমওয়ার্ক। স্কুলে যেমন শিক্ষকের সাথে সরাসরি প্রশ্ন করার সুযোগ থাকে, অনলাইন লার্নিং সুযোগ ততটা নেই। স্কুলের বন্ধুদের মিস করি, ক্লাসে বসে কথা বলা যায় না, স্কুলে যেমন সরাসরি কথা হয়, আলাপ হয়, সহভাগিতা করার সুযোগ থাকে, অনলাইন লার্নিং-এ সে সুযোগ নেই। বাসায় স্কুল করাটা সুবিধাজনক, কিন্তু কিছ চ্যালেঞ্জও ফেইস করতে হয়ে. কখনো কখনো অভিবাবকরা ছেলেমেয়েদের সহযোগিতা করেনা, তাদের ক্লাসের সময় ইন্টারাপ্ট করেন, যেটা ছাত্রদের শিক্ষার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে বাধার সৃষ্টি করে. অনলাইন ক্লাস করতে গিয়ে অনেক ছাত্র ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ভিডিও গেইমস খেলে বা অন্য কিছু করে, যা ঠিক নয়।
দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী, প্যানসিলভানিয়ার ভিভিয়ান তার অভজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলে:
অনলাইন ক্লাস ভাল লাগছে, কারণ ভোর বেলায় তাড়াতাড়ি উঠে প্রস্তুত হতে হয়না, ঘর থেকেই আরামে ক্লাস করা যায়. অনলাইন ক্লাস করার পাশাপাশি কম্পিউটারে অনেক কিছু এক্সপ্লোর করা যায়, শেখা বা জানা যায়। বাসায় বাবা মাও সাহায্য করতে পারে। স্কুলে যাবার ঝামেলা নেই। ইন্টারনেট কানেকশন ভালো থাকায় অনলাইন ক্লাস করার কোনো সমস্যা নেই. তবে স্কুলের বন্ধুবান্ধবদের মিস করছি। ওদের সাথে দেখা হয়না। শিক্ষকের সাথে সরাসরি কথা বলার বা প্রশ্ন করার সুযোগ নেই, এটা একটি বিশেষ প্রতিবন্ধকতা। সারাদিন কম্পিউটার স্ক্রিনে তাকিয়ে ক্লাস করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে যেতে হয়, একেক সময় একটু বোরিং ফিল করি। এছাড়া ঘরের ভিতরে দিনের পর দিন সারাদিন ধরে ক্লাস করাটা শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে আমাদের উপর প্রভাব ফেলছে, যা আমাদের জন্য ভালো নয়, হাঁপিয়ে উঠছি। স্কুলে ক্লাস করার পাশাপাশি নানা ধরণের এক্টিভিটিস চলে, তাই সেখানে উপযুক্ত পরিবেশ আছে আমাদের শিক্ষা এবং শারীরিক গঠনের জন্য। অনলাইন লার্নিং-এর সিস্টেমে পরিবর্তন দরকার ছাত্র-ছাত্রীদের নানা দিক বিবেচনা করে, যাতে অনলাইন লার্নিং ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষনের জন্য উপযুক্ত হয়, আনন্দদায়ক হয়, ইন্টারেক্টিভ হয়, তাতে করে শিক্ষন পদ্ধতি পরিবর্তনের একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে সবার উপর। এছাড়া আমি বিভিন্ন ক্লাব এবং এক্সট্রা ক্যারিকুলাম এক্টিভিটিসের সাথে জড়িত, তা করতে পারছি না এই প্যান্ডেমিকের কারণে। প্যান্ডেমিকের পর স্কুলে ফিরে যাওয়া হবে আরেকটি চ্যালেঞ্জ। কারণ, মহামারীর প্রভাব একেবারে হয়তো যাবেনা, আমাদে হয়তো মাস্ক পড়তে হবে, কমিউনিকেশনে অসীবুধা হযে, অসস্তিকর একটি পরিবেশ থাকবে, মনে ভয় থাকবে।
ভার্জিনিয়া থেকে যুক্ত হওয়া নাদিয়া বলে:
অনলাইন ক্লাস ভালো লাগে, এখানে সহজে ঘরে বসে কম্পিউটার ব্যবহার করে শিক্ষার ব্যবস্থ্যা হয়েছে। সহজেই অনেক কিছ শেখা যায়, করা যায়। শিক্ষকের সাথে ইমেইল-এ যোগাযোগ করা যায়। অনলাইন শিক্ষা ব্যাবস্থায় সবার সাথে কম্যুনিকেট করা যায়। হোমওয়ার্ক করাটা আমার মনে হয় বেশী সহজ। জুম্-এ ব্রেকআউট রুম থাকায় দলীয় আলোচনার সুবিধা আছে মতবিনিময় করে সহভাগিতার সুবিধা আছে। সার্বিকভাবে আসলে অনলাইন লার্নিং আমাদের জন্য সুবিধাজনক এই মুহূর্তে। তবে শিক্ষা পদ্ধতিতে কিছ পরিবর্তন প্রয়োজন, যাতে করে ক্লাসে ছাত্ররা বোরিং ফিল না করে, বা মনোযোগ দিয়ে অননন্দের সাথে শিখতে পারে। আর এই পরিস্থিতি কতদিন চলবে, ভবিষ্যতে আমাদের শিক্ষার পদ্ধতি কি হবে, সেটা নিয়ে চিন্তা হয় । এভাবে নতুন পদ্ধতিতে আমাদের সবকিছুর সাথে এডজাস্ট করে নেয়ার একটা ব্যাপার রয়েছে। এখন বর্তমান পরিস্থিতিতে সবকিছুতেই একটি নতুন জীবন ধারা যোগ হচ্ছে, মানুষ শিখছে, মানিয়ে নিচ্ছে বা নিতে বাধ্য হচ্ছে। আগামীতে আমরা যখন স্কুলে ফিরে যাবো, তখন পরিবেশ, পরিস্থিতি, সিস্টেম কি হবে, এখনো আমরা নিশ্চিত নই। নতুন জীবনধারার জন্য চিন্তিত এবং নিজেকে প্রস্তুত করতে গিয়ে মানসিক চাপ অনুভব করছি। বাসায় সুবিধাজনক, কিন্তু অনেক সময় উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে সমস্যা হয়। ভবিষ্যৎ শিক্ষা পদ্ধতি পুরোপুরি অনলাইনভিত্তিক হবে কিনা জানিনা, অনেক কিছুই অনিশ্চিত। তবে যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে অনেক গবেষণা এবং যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ভারিজিনিয়া থেকে অনুষ্ঠানে যুক্ত হওয়া সর্বকনিষ্ঠ ছাত্র ছিল ম্যাসন রড্রিগেজ, ৬ বৎসর বয়স এবং কিন্ডারগার্টেন ছাত্র। ম্যাসনও বললো, বাসা থেকে অনলাইন ক্লাস করতে তার ভাল লাগে, বাসায় সে স্কুল করতে পারে, খেলতে পারে।
ছাত্র-ছাত্রীদের সবার অভিজ্ঞতা সহভাগিতা করার পর ড: বদরুল হুদা খান বলেন যে- উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দূর শিক্ষন বা ই-লার্নিং নিয়ে আরো চিন্তা করতে হবে, এটাকে কিভাবে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা পদ্ধতিকে উন্নত করা যায় সেটা নিয়ে ভাবতে হবে । এটি একটি সুযোগ, অন্তর্জাল বা ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ছাড়া অনেক কিছুই অচল হয়ে যেত। বাসায় বসে দূর শিক্ষণের যে সব প্রতিবন্ধকতা ছাত্র-ছাত্রীরা উল্লেখ করেছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে আমাদের বিবেচনা করতে হবে এবং এবিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। অভিবাবক, শিকক্ষ, এডমিনিস্ট্রেশন, সিস্টেম, ছাত্রছাত্রী… সবাই এই বিষয়টির সাথে জড়িত। তাই সবাইকে এবিষয়ে ভূমিকে রাখতে হবে। আরো সচেতন হতে হবে, আরো গবেষণা করতে হবে, নতুন পদ্ধতি বের করতে হবে- মনে রাখতে হবে, ই-লার্নিং বা দূর শিক্ষণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই অন্তর্জাল যোগাযোগ বা ডিজিটাল কমিউনিকেশন আমাদের জন্য একটি আশীর্বাদস্বরূপ। আমাদের নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে এই মাধ্যম কাজে লাগিয়ে শিক্ষাসহ নানা দিকে আমাদের এই রিসোর্স ব্যবহারের জন্য। যে সব সমস্যা রয়েছে, তা সমাধান করে এই ডিজিটাল লার্নিং প্লাটফর্ম কাজে লাগাতে হবে। টেকনোলজি আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ। কিন্তু টেকনোলজির সাথে মানুষকে একটি কমফোর্টেবল রিলেশনশিপ তৈরী করতে হবে, নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে এটাকে কাজে লাগানোর জন্য। আমাদের নীতিনির্ধারণী বিষয়ে সতর্ক হতে হবে. প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর উপযুক্ত দূর শিক্ষণের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, অভিবাবক এবং শিক্ষকদের বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে। সবাই মিলে দূর শিক্ষনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভূমিকা রেখে মানব সম্পদ গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে। মানব সম্পদের শিক্ষা এবং উন্নয়নের উপরই নির্ভর করছে সমাজের এবং দেশের উন্নয়ন, তথা বিশ্ব উন্নয়ন।
পরিশেষে ড: আফতাব বলেন- আজকের ওয়েবিনারে যে সব আলোচনা এবং সবার যে অভিজ্ঞতার কথা সহভাগিতা হলো, তা থেকে আমরা অনেক কিছু জানতে পেরেছি, শিখতে পেরেছি। চমৎকার আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এমনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আরো আলোচনা করার প্রত্যাশা রয়েছে। যে সব চ্যালেঞ্জ এবং তার সমাধানের জন্য যে সব পরামর্শের কথা ছাত্র-ছাত্রীরা উল্লেখ করেছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, শিক্ষা ব্যাবস্থায় পরিবর্তন আনার জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। সবাইকে একসাথে কাজ হবে করতে হবে, সহযোগিতা করতে হবে। অতঃপর সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওয়েবিনারের সমাপ্তি টানা হয়।