লাইফস্টাইল ডেস্ক:
অনেকেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ খান, ইনসুলিন নেন। তবে প্রতিদিনের জীবনযাত্রা ও খাওয়ার ওপর প্রায় ৮০ শতাংশ নির্ভর করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ। তার সঙ্গে মেডিটেশন, ব্যায়াম করলে আরো উপকারিতা পাওয়া যায়। এমনকি রান্নাঘরের কিছু মসলাও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। যেমন-
দারুচিনি : দারুচিনিতে একাধিক থেরাপিউটিক উপাদান থাকায় এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৩-৬ গ্রাম দারুচিনি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়। দারুচিনি ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা এবং রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা হ্রাস করে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।
হলুদ : হলুদের হাজার গুণাগুণ রয়েছে। কাটা, ক্ষত ভালো করার পাশাপাশি হলুদ অ্যান্টি ডায়াবেটিস হিসেবে কাজ করে। এটি ডায়াবেটিস বাড়তে দেয় না, বিটা-কোষের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং তাদের মৃত্যু রোধ করে। হলুদে থাকা কারকুমিন উপাদান হৃদরোগ ও কিডনিজনিত জটিলতা কমায়।
মেথি : ডায়াবেটিস হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। মেথি শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে হাইপারগ্লাইসেমিয়া হ্রাস করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ৩ বছর ধরে টানা মেথি খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়।
লাল মরিচ : লাল মরিচে থাকা ক্যাপসাইকিন উপাদান অ্যান্টি-ডায়াবেটিক হিসেবে কাজ করে। ডায়াবেটিসের কারণে যেসব সমস্যা দেখা দেয় যেমন-স্থূলতা, পেটের নীচে যন্ত্রণা সেসব রোধ করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ক্যাপসাইকিন ইনসুলিনের উৎপাদন এবং বিপাকে সাহায্য করতে পারে। এই ইনসুলিন একটি হরমোন যা শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে।
তেজপাতা : টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে তেজপাতা। প্রতিদিন ১-৩ গ্রাম তেজপাতা খেলে ডায়াবেটিসজনিতা জটিলতা যেমন- হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের কার্যকারিতা উন্নত করতেও সহায়তা করে।
এলাচ : এলাচে থাকে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং হাইপোলিপিডেমিক উপাদান, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখে। এটি এনার্জি, কোষের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং ইনসুলিনকে যথাযথভাবে মুক্তি দিতে পারে।
লবঙ্গ : অতিরিক্ত গ্লুকোজ সংরক্ষণ করে গ্লুকোজ স্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে লবঙ্গ। গবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গে গ্যালিক অ্যাসিড, কেটেকিন এবং কোরেসেটিনের মতো পলিফেনল থাকে যেগুলি লিভারের কার্যকারিতা বজায় রাখতে এবং লিভারের গ্লাইকোজেনকে গ্লুকোজে রূপান্তর করতে সহায়তা করে, যা ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করে।
জিরা : ডায়াবেটিস রোগীদের ব্লাড গ্লুকোজ, বডি ফ্যাট, লেপটিনের মাত্রা কম করে জিরা। এগুলো কমে গেলে ইনসুলিন প্রতিরোধ বাড়ায় এবং ডায়াবেটিসের জটিলতা হ্রাস হয়। সূত্র : বোল্ড স্কাই
সেরা টিভি/আকিব