লাইফস্টাইল ডেস্ক:
বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে মাথার চুলে ব্লিচ অথবা কালার করা যেন একটি ঝোঁকে পরিনত হয়েছে। ছেলে হোক, মেয়ে হোক, নেই কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম। বিশেষ করে নারীদের আকৃষ্ট করে তাদের চুলের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া।
ব্লিচ এবং কালার করলে চুল নতুন রঙ পায়, চুলকে করে আরও বেশি উজ্জ্বল, এবং সুন্দর। কিন্তু চুলে ব্লিচ করলে চুলের অনেক বেশি ক্ষতিও হয়। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য করা যায়।
– একবার চুল ব্লিচ করলে চুলের অনেক ক্ষতি হয়। অতিরিক্ত পরিমাণে তেল, বাতাস, ধুলো, ক্ষতিকারক সূর্যের রশ্মি ছাড়াও আরও অনেক কিছুই চুল্কে করে আরও দুর্বল। পাশাপাশি, চুল ভেঙে পড়া, চুলের গোঁড়া ভাঙ্গা, এমনকি এ সময় চুলের বৃদ্ধিও হ্রাস পায়; কোনো কোনো ক্ষেত্রে একদম বন্ধই হয়ে যায়।
– চুল নিজের ময়েশ্চার ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। ব্লিচের কারনে চুল তার প্রয়োজনীয় প্রোটিন সংগ্রহে বাধাগ্রস্ত হয়। যার কারনেই মূলত চুলের ভাঙ্গা শুরু হয়। ব্লিচিং করার অর্থই হলো চুলে ক্ষতিকারক পদার্থের ব্যবহার।
– ব্লিচের কারনে মাথার স্ক্যাল্পেও ক্ষতি হতে পারে। মাঝে মাঝে অনেক বেশি জ্বালাপোড়া অনুভব হয়। তবে শুধু মাত্র কালার অথবা ব্লিচ করার মুহূর্তেই এটা অনুভূত হয়। যদিও এটা কিছুদিন পর্যন্তও স্থায়ী হয় মাঝে মাঝে।
– চুলকে অনেক বেশি রুক্ষ করে দেয়। জারণ পদ্ধতি অনুসরন করে করে ব্লিচিং করা হয়। এ পদ্ধতিতে চুল অনেক বেশি শুকিয়ে আসে। তাই যখন কেউ এই ভেবে চুল কালার করছে তার চুল সুন্দর দেখাবে; বিপরীতে চুল আরও বেশি রুক্ষ, শুষ্ক, ও নিস্তেজ হয়ে পরে।
– ব্লিচিং অনেক বেশি যত্নের প্রয়োজন পরে; আর সে যত্নের পেছনে অনেক বেশি অর্থ ব্যায়ের প্রয়োজন হয়। অনেক নামীদামী প্রসাধনী ব্যাবহার করতে হয়। যদি সম্ভব না হয় তাহলে চুলকে অনেক বেশি ভুগতে হয়। ফলস্বরূপ, চুল ওঠা, ভাঙ্গা, গোঁড়া ফাটা, বৃদ্ধি কমে জাওয়া সহ আরও নানা ক্ষতি হয়। কাজেই যত্ন ভালো মত করতে না পারলে ব্লিচিং না করাই ভালো।
– চুল তার আসল রঙ হারিয়ে ফেলে। আর সে রঙ ফিরে পাওয়া যায়না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় চুলের রঙ অনেক বেশি বাজে হয়ে যায়; ফ্যাঁকাসে দেখায়। মূলত কালার করার প্রসাধনী গুলো সঠিক পরিমানে এবং সঠিক পদ্ধতিতে ব্যাবহার করতে না পারলেই এমনটা হয়।
সেরা টিভি/আকিব