সেরা এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক:
টেকনাফের এক দরিদ্র জেলে মানিক। অভাবের তাড়ণায় ও পারিপার্শিকতার চাপে ইয়াবা পাচারের সঙ্গে যুক্ত হয়। ঝুঁকি নিয়ে কপবাজার থেকে ৪০০ ইয়াবা পোটলা করে গিলে পাকস্থলির ভেতর নিয়ে ঢাকায় পৌঁছে দেয় গডফাদারের কাছে। বিনিময়ে যা পায় সংসারের ভরণপোষণ হয়। তাকে ব্যবহার করে বড়লোক হয় গডফাদার ও তার দল। শেষ পরিণতি অনেক করূণ ও তা বিস্ময় সৃষ্টি করবে। ’স্বর্ণমানব ৪’ এ এমন গল্পই দেখানো হবে।
এর আগে স্বর্ণমানবের তিনটি পর্ব প্রচার হয়েছে। যা প্রশংসা পায় দর্শক মহলে। পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ এর আগের তিনটি সিরিজ নির্মাণ করেছেন। এ পর্বটিও তারই নির্মাণ। তিনি জানান, সিরিজটির জনপ্রিয়তা ও একইসঙ্গে চলমান সামাজিক বাস্তবতা মাথায় নিয়ে এই ধারাবাহিকের আয়োজন করা হয়েছে। ‘স্বর্ণমানব ৪’ আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ২৬ জানুয়ারি প্রচার করা হবে।‘স্বর্ণমানব–৪’ টেলিছবিটি চ্যানেল আইতে বিকেল সাড়ে পাঁচটা, আরটিভিতে বেলা সোয়া তিনটা, এনটিভিতে রাত সাড়ে ১১টা এবং বাংলাভিশন পরের দিন বিকেল পাঁচটায় প্রচার হবে।
স্বর্ণমানবের গল্প ও চিত্রনাট্যকার ড. মইনুল খান ও অভিনেতা মোশাররফ করিম এবং রুনা খান
এতে মুল চরিত্র মানিকের অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। তিনি আগের দুটো পর্বেও অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। অন্যান্য ভূমিকায় আছেন জাকিয়া বারী মম, সালাউদ্দিন লাভলু, আজিজুল হাকিম, রুনা খান, আরফান আহমেদ, মনিরা মিঠু, রাশেদ মামুন অপু, আমানুল হক হেলাল, সুজাত শিমুল, শহীদউল্লাহ সবুজ, আরিয়া অরিত্রী, খালিদ মাহমুদ ও মাসুদ।
স্বর্ণমানবের গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ড. মইনুল খান। নাট্যকার নিজেই শুটিং স্পটে উপস্থিত থেকে সার্বিক নির্দেশনা দিয়েছেন। চোরাচালান বিরোধী তার দাপ্তরিক কাজ ও অভিজ্ঞতা থেকেই এই ‘স্বর্ণমানব’ রচিত বলে জানান তিনি। তিনি বর্তমানে এনবিআরের কাস্টমস বিভাগে মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত। টেলিফিল্মটি ১৯৫২ প্রযোজনা থেকে নির্মাণ করা হয়েছে।
এবারের গল্প প্রসঙ্গে ড. মইনুল খান বলেন, টেকনাফের নাফ নদী, সমুদ্র বিচ ও জেলেপাড়া, কপবাজার ও ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর, আকাশে এয়ারক্রাফটের ভেতর, এয়ারপোর্ট কাস্টমস জোন, একটি পাঁচ তারকা হোটেল ও উত্তরার ক্লিনিকে এই শুটিং সম্পন্ন হয়। ঘটনার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক আকর্ষণীয় ও দুর্লভ কিছু দৃশ্য রয়েছে এই টেলিফিল্মে, যা নতুনত্ব ও বৈচিত্র এনে দেবে। এবারের পর্বে ডিটেক্টিভ চরিত্রের মুন্সিয়ানা থাকবে। যা দর্শকদের মুগ্ধ করবে।
কাস্টমস বিভাগে মহাপরিচালক আরও জানান, শুটিংকালে একটি চ্যালেঞ্জ ছিল আর্টিস্টদের স্থানীয় টেকনাফের আঞ্চলিক ভাষায় ডায়ালগ বলা। দুজন স্থানীয় বাসিন্দা দিয়ে ভাষান্তর করে সেটি সম্ভব হয়েছে। মোশাররফ করিম, রুনা খান, আরফান ও হেলাল এই চ্যালেঞ্জটি ভালভাবে পার করেছেন। ‘স্বর্ণমানব’ সামাজিক অন্যায় ও অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে একটি ছায়া।
সেরা টিভি/আকিব