বিশ্বের জলবায়ু দূষনের মাত্রা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা ধারনা করছেন আগামী ৩০ বছরে, অর্থাৎ, ২০৫০ সালের মধ্যে সাগরের তলে চলে যেতে পারে ভারতের মুম্বাই ও কলকাতা শহর। বিশ্বের কার্বন নির্গমনের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বে সমুদ্রের পানির স্তর অন্তত এক মিটার বৃদ্ধি পাবে। এর নেতিবাচক প্রভাব শুধু ভারত নয়, চীন, বাংলাদেশ, ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও জাপানের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপরও পড়বে। জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে এসব অঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পেয়ে সমুদ্রের তলায় চলে যেতে পারে সমুদ্র উপকূলবর্তী বহু শহর।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির ‘ক্লাইমেট সেন্ট্রাল সংস্থার’ গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রের পানিস্তরের মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পাবে যে, এর ফলে বহু মানুষ তাদের বাসস্থান হারাবে। সমুদ্র উপকূলের বহু শহর পানির তলায় চলে যাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার কলকাতার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
রিপোর্টে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী ভারতের বাণিজ্যিক নগরী মুম্বাই পানির নিচে চলে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। বিশেষ করে, এই শহরটি একাধিক ছোট দ্বীপের ওপর গড়ে উঠেছে। তাই এই শহরের পুরোনো অংশ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। পানির নিচে চলে যেতে পারে কলকাতা শহরও। পানির নিচে যেতে পারে এমন সমুদ্র উপকূলবর্তী শহরে এখন বাস করে ৩০ কোটি মানুষ।
এসব শহরের দূষণমাত্রা কমাতে সরকার সক্ষম হলেও ৩০ বছরের মধ্যে বন্যা দেখা দিতে পারে। আর এই তালিকায় উঠে এসেছে চীন, বাংলাদেশ, ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও জাপানের নাম। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ ভিয়েতনাম পুরোপুরি সমুদ্রের গর্ভে চলে যেতে পারে এবং থাইল্যান্ডের ১০ শতাংশ জমি সমুদ্রগর্ভে বিলীন হতে পারে। গ্রাস হতে পারে সাংহাই শহরের বিরাট অংশ।
উল্লেখ্য, পৃথিবীতে দূষনের মাত্রা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে জলবায়ু পরিবর্তনের হারও বেড়ে যাচ্ছে।জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে উষ্ণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে শীত প্রবন অঞ্চলের বরফ গলার পরিমান ও বেড়ে গেছে যা সমুদ্রের পানির স্তর দিন দিন বৃদ্ধি করছে। ফলস্রুতিতে ঝুকির মুখে পড়ছে সমুদ্র তীরবর্ত্তী অঞ্চল সমূহ।