ইউরোপের অন্যতম নান্দনিক সৃষ্টি শৈলী জার্মানির কোলন মসজিদ - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
ইউরোপের অন্যতম নান্দনিক সৃষ্টি শৈলী জার্মানির কোলন মসজিদ - Shera TV
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন

ইউরোপের অন্যতম নান্দনিক সৃষ্টি শৈলী জার্মানির কোলন মসজিদ

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৯

নন মুসলিম দেশ হয়েও ইউরোপের অন্যতম বড় মসজিদ জার্মানিতে অবস্তিত। যা কোলন কেন্দ্রীয় মসজিদ হিসেবে পরিচিত। এই মসজিদটি ইউরোপের অন্যতম বড় এবং জার্মানির সবচেয়ে বড় মসজিদ। এটির আয়তন ৪৫০০ বর্গমিটার। এতে একসঙ্গে দুই থেকে চার হাজার মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। জার্মানিতে তুর্কি মুসলিমদের সংগঠন ডিটিব মসজিদটি নির্মাণ করেছে। নামাজের পাশাপাশি সেখানে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সংলাপ, খেলাধুলা আয়োজনের ব্যবস্থা এবং দোকান ও লাইব্রেরি রয়েছে। এখানে ডিজাইনেও রয়েছে ভিন্নতা। ‘নন-অটোমান’ ডিজাইন অনুসরন করে মসজিদটি তৈরি করা হয়েছে। এতে কংক্রিট এবং কাঁচের দেয়াল ও গম্বুজ রয়েছে। দু’টি মিনারতের উচ্চতা ৫৫ মিটার করে। আর মসজিদের ভেতরে দেয়ালে বিভিন্ন ক্যালিগ্রাফি রয়েছে। কোলনে বসবাসরত তুর্কিরা দীর্ঘদিন ধরেই এমন এক মসজিদের স্বপ্ন দেখছিলেন। তবে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরুর পর নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এমনকি ২০১১ সালে বিপুল প্রতিবাদের মুখে এটির নির্মাণকাজ কিছুদিনের জন্য মন্থরও করা হয়। অভিবাসীবিরোধী চক্র এটি নির্মাণের বিরোধিতা করে। তবে পত্রিকার এক জরিপে দেখা যায়, শহরের ৬৩ শতাংশ বাসিন্দা এটি তৈরির পক্ষে। জার্মানিতে প্রায় পাঁচ মিলিয়নের মতো মুসলমান বাস করেন। তাঁদের একটি বড় অংশই তুর্কি বংশোদ্ভ‚ত। কোলনে বসবাসরত সোয়া লাখ মুসলমানের জন্য সত্তরটির মতো মসজিদ রয়েছে। অধিকাংশ মসজিদই এমন জায়গায় তৈরি যা সচরাচর চোখে পড়ে না। তবে এই মসজিদটি ব্যতিক্রম। মসজিদটি তৈরিতে কমপক্ষে সতের মিলিয়ন ইউরো খরচ হয়েছে। তবে এখনও কিছু কাজ বাকি রয়েছে বলে জানা গেছে। এই অর্থের অধিকাংশই দিয়েছে ডিটিব। কিছু অর্থ সংগ্রহে সহযোগিতা করেছে একটি গির্জা। কোলন কেন্দ্রীয় মসজিদটির নকশা করেছেন পল ব্যোম। তিনি এবং তার বাবা মূলত গির্জার ডিজাইন করার জন্য বিখ্যাত। তবে সমজিদটি তৈরির মাধ্যমে তিনি তার দক্ষতাকে অন্যস্তরে নিয়ে গেছেন।‘উন্মুক্ত’ এবং ‘উজ্জ্বল’। মসজিদটির ডিজাইন সম্পর্কে এই দুটো শব্দই উচ্চারণ করেছেন ব্যোম। মসজিদটির মধ্যে প্রাকৃতিক আলো নিশ্চিত করতে দেয়ালে প্রচুর কাঁচ ব্যবহার করা হয়েছে। আর মসজিদটি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্যও উন্মুক্ত। যে কেউ সেখানে প্রবেশ করতে পারেন। কোলনের মানুষ মসজিদটিকে স্থানীয় ভাষায় বলেন, ‘ক্যোলশ ম্যুশি’। আর মসজিদটির ডিজাইনেও জার্মান ছোঁয়া রয়েছে। প্রচলিত তুর্কি মসজিদগুলো যেরকম, এই মসজিদটি মোটেও সেরকম নয়। কোলন কর্তৃপক্ষ মসজিদটি নির্মাণের অনুমতি দেয়ার পাশাপাশি কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, সেখানে জার্মান ভাষা শিক্ষার আয়োজন থাকতে হবে। পাশাপাশি ইমামকে জার্মান ভাষায় দক্ষ হতে হবে। আর খুতবা দিতে হবে এমন ভাষায়, যা নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা বুঝতে পারেন। মোটের উপর, প্রার্থনায় অংশ নিতে আসা পুরুষ এবং নারীদের সমান মর্যাদা দিতে হবে। সূত্র : ডয়েচে ভেলে

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360