অনলাইন ডেস্ক:
সম্পর্কে রয়েছেন। অনেক চেষ্টার পর মন গলেছে আপনার প্রেমিকার। তার সবকিছুই আপনার ভালো লাগে। তার পছন্দের সবকিছু করতে আপনার অন্যরকম আনন্দ হয়। তবে এমন সম্পর্কও কিছুদিন পর মলিন হয়ে যেতে পারে। দীর্ঘ সম্পর্ক ধরে রাখতে সবচেয়ে জরুরি একজন সঠিক মানুষ বেছে নেয়া। আপনার প্রেমিকা আপনার জন্য সঠিক কি না তা কয়েকটি লক্ষণে দেখে নিতে পারেন।
পছন্দগুলো কাছাকাছি
প্রত্যেক মানুষই তার নিজের মতো করে আলাদা। ব্যক্তিত্বেও ভিন্নরকম। তবে মনের মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় তখনই, যখন তার সঙ্গে আপনারও কিছুটা মনের মিল থাকবে। সকলেই যে একরকম বই পড়তে পছন্দ করবেন তা নয়। তবে পছন্দের গান, সিনেমা, ঘুরতে যাওয়া, খাওয়া-দাওয়া এসব বিষয়ে অবশ্যই কিছুটা মিল থাকা প্রয়োজন। কারণ দুজনের মধ্যে কথা বলার মতোও যথেষ্ঠ বিষয় চাই। আর তাই প্রেম করার সময় অবশ্যই এই দুটি বিষয় খেয়াল রাখুন। প্রেমিক-প্রেমিকা হওয়ার আগে কিন্তু ভালো বন্ধু হওয়া প্রয়োজন।
আপনার কাজকেও যিনি গুরুত্ব দেন
যেকোনো সম্পর্কেই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধার খুবই প্রয়োজন। একে অপরকে যেমন ভালোবাসতে হবে তেমনই সবার কাজকে সম্মান করতে হবে। কাজের সময়ে অযথা কোনও বিরক্ত নয়। সেই সঙ্গে আপনার কাজের প্রতিও তার সমর্থন থাকা দরকার। কীভাবে ভবিষ্যতে আরও উন্নতি করবেন সেই বিষয়ে দুজনেরই ভাবনা চিন্তা থাকা দরকার।
অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়
বেশ কয়েকদিন যাবৎ প্রেম করলেও প্রেমিকা কিন্তু আপনাকে সারপ্রাইজ দিতে ভোলেন না। সেই সঙ্গে তার মধ্যে উদ্যোমের কিন্তু কোনো অভাব নেই। একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া, ট্রেকিং যাবতীয় পরিকল্পনা তিনিই সারেন। এর অর্থ কিন্তু প্রেমিকা নানাভাবে আপনাকে ভালো রাখতে চেষ্টা করেন।
সম্পর্ক নিয়ে তারও কিছু গুরুত্বপূর্ণ মতামত রয়েছে
সম্পর্ক নিয়ে প্রেমিকা যে সিরিয়াস শুধুমাত্র তাই নয়, তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ মতামতও রয়েছে। যেমন তিনি আপনাদের সম্পর্কের কথা যেমন ফলাও করে কাউকে জানাতে চান না সেই রকমই সম্পর্কে ‘স্পেস’ কীভাবে বজায় থাকবে তা নিয়েও তিনি সচেতন। আপনার আর তার স্বপ্ন নিয়ে কীভাবে সামনের দিকে আরও এগিয়ে চলবেন এই ব্যাপারেও তিনি যথেষ্ঠ সচেতন।
আপনার কোনো কিছু তার খারাপ লাগলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন
কোন বিষয়ে আপনার উপর বিরক্ত হলেও তা কিন্তু জানাতে ভোলেন না। বরং আপনার কোনো ব্যবহার কিংবা কথায় বিরক্ত হলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন। কারণ তিনি একটুকু বিশ্বাস করেন যে, আপনি তার মন পড়ে ফেলতে পারবেন না। সেই সঙ্গে সমস্যার সমাধানও তিনি নিজেই খোঁজেন।
আপনি যেমন সেভাবেই আপনাকে গ্রহণ করেছেন
মানুষ হিসেবে কেই কাউকে পুরোপুরি বদলে ফেলতে পারে না। বরং জীবনে কে কীভাবে থাকবেন সেই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি তারই। কিন্তু কিছু বিষয়ে অবশ্যই মানিয়ে চলতে হয়। আর তাই দুজনেরই দুজনের মান-সম্মানের কথা মাথায় রেখে চলা উচিত। সেই সঙ্গে দুজনের ব্যক্তিত্ব যে আলাদা একথাও তিনি মাথায় রেখে চলেন। আপনাকে পুরোপুরি বদলে ফেলেই তার উদ্দেশ্য, এমনটা কিন্তু কখনও ভাববেন না। বরং আপনার কীসে ভালো হতে পারে সেই ব্যাপারে কথা বলার ক্ষমতা অবশ্যই তার আছে। আর এক্ষেত্রে দুজনকেই সম্মত হতে হবে।
সেরা টিভি/আকিব