স্টাফ রিপোর্টার:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে থাকার কারণেই বর্তমান পদে আসতে পেরেছেন উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করি যে আমি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলাম, নির্বাচন কমিশনে আসার এটা ছিল প্রধান কারণ। অন্যথায় সম্ভবত আমি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমি এখানে আসতে পরতাম না।’
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাংবাদিক সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম না, কিন্তু আমার মুক্তিযুদ্ধের সনদ আছে। দেশ স্বাধীনের প্রায় ৪৭ বছর পরে আমি সেটা পেয়েছি। ৪৭ বছর পর সরকার নির্ধারণ করলেন যে আমিও মুক্তিযোদ্ধা। সুতরাং আমি একজন কাগুজে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেলাম এবং তারপর থেকে আমি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছি। এই ভাতাকে আমি খুব সম্মানজনক মনে করি। যদিও আমি সেই অর্থে মুক্তিযোদ্ধা নই।’
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত তৎকালীন মুজিবনগর সরকারের একজন কর্মকর্তা ছিলেন মাহবুব তালুকদার।
সাংবাদিকতার স্মৃতিচারণ করে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাকে কিন্তু সাংবাদিকতা ছাড়ে নাই। আমি সাংবাদিকতার পথ ধরেই বঙ্গভবনে এলাম ১৯৭২ সালে। বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর উনি আমাকে ডেকে বললেন, তুমি আমার সঙ্গে থাকবা। বঙ্গবন্ধুর সাথে আমি জীবনের সবচেয়ে গৌরবময় মুহূর্ত কাটিয়েছি। আমি সাংবাদিক হতে পারি নাই তারপরও সাংবাদিকতা আমাকে কত কিছু দিয়েছে। আজকে যখন আমি সাংবাদিকদের দেখি তখন মনে প্রত্যেকেই হলাম আমি।’
‘আমার জীবনের একটা স্বপ্ন ছিল সাংবাদিক হব। ৬০ বছর আগে আমি সাংবাদিক হয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি পর আমি দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার ছিলাম। কিন্তু ভাগ্য আমাকে সাংবাদিকতায় থাকতে দিল না। ওই সময় আমি ১০০ টাকা বেতন পেতাম। আর পত্রিকার ইঞ্চি মেপে টাকা পেতাম। এর মধ্যে আমার পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো হয়ে গেল। তখনকার দিনে রেজাল্ট ভালো হলে কেউ সাংবাদিকতায় থাকত না। আমাদের সময় আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে সাংবাদিকতায় ঢুকিয়ে দিত। এরপর আমি বৃত্তি পেয়ে পিএইচডি করতে গেলাম।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সেরা টিভি/আকিব