ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
অভ্যুত্থান বিরোধী আন্দোলন দমনে রাতভর অভিযান চালিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।
সংবাদ সম্প্রসারন
মিয়ানমারে জান্তা সরকারের ব্যাপক ধরপাকড় উপেক্ষা করে আজও রাজপথে নেমেছে আন্দোলনকারীরা। মান্দালয়, ইয়াঙ্গুনসহ দেশটির বড় বড় শহরগুলোর রাস্তায় বিক্ষোভে শামিল হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
মিয়ানামারে সামরিক জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ দমনে নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিদের আটক করতে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। শনিবার ইয়াঙ্গুনে রাতভর চলে অভিযান। এমনকি বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ- এমন অভিযোগও করেছেন অনেকেই।
মিয়ানমারের অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স অ্যাডভোকেসির তথ্য অনুয়ায়ী, শনিবার পর্যন্ত এক হাজার সাতশ’র বেশি মানুষকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে, আটক হওয়ার ভয় থাকলেও থেমে নেই সেনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। বচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে। বিক্ষোভ দমনে লাসিও শহরে টিয়ারশেল ও স্টান গ্রেনেড ছুড়েছে পুলিশ।
জান্তা বিরোধীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে কয়েক হাজার মানুষ।
এদিকে, বিক্ষোভের সময় নিহত কিয়াল সিনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভি বলছে, তার মাথায় লাগা গুলিটি পেছন থেকে ছোড়া হয়েছে। পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়নি।
সেনা অভ্যুথানের বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো নিন্দা জানালেও চীন বলছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ বন্ধ করা উচিত। অন্যদিকে, সামরিক সরকারের নিয়োগ করা লবিস্ট অ্যারি ব্যান মিনেশ জানিয়েছেন, বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়ায় আরব দেশগুলোর সমর্থন পেতে কাজ করছেন তিনি।
সেরা টিভি/আকিব