অনলাইন ডেস্ক:
ভোটের ময়দানে দুজনেই আনকোরা। রাজনীতিতে রত্না চট্টোপাধ্যায় আছেন দীর্ঘদিন। টালিগঞ্জের সেলিব্রিটি নায়িকা বিজেপি প্রার্থী পায়েল সরকারের জন্যে পিচটা নতুন। কিন্তু, এই দুইয়ের লড়াইকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে বেহালা পূর্ব আসনের লড়াই। এই আসনটি দখলে ছিল কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় এর। শোভন বাবু আবার রত্নার স্বামী। এখন তিনি রত্নার সঙ্গে থাকেননা।
দীর্ঘদিন আগেই গৃহত্যাগ করেছেন। বান্ধবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায় এর সঙ্গে তাঁর বসবাস এখন গোলপার্কে। শুধু স্ত্রী রত্নাকে নয়, তৃণমূল দলটাকেও ছেড়েছেন শোভন। বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। বেহালা পূর্ব আসনে তাঁকে কিংবা বৈশাখীকে বিজেপি প্রার্থী না করায় আপাতত তিনি এবং বৈশাখী গোঁসাঘরে। প্রাক্তন না হয়েও প্রাক্তন স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায় এর ছাড়া জুতোয় পা গলিয়েছেন রত্না। ছাত্র আন্দোলনের সময় তাঁর পরিচয় শোভন বাবুর সঙ্গে। তারপর প্ৰেম এবং বিয়ে। দীর্ঘ দাম্পত্যের পর বৈশাখী ঝড়ে রত্না যতটাই বিপর্যস্ত এই ভোট ময়দানে আবার সেটাই তাঁর বড় অস্ত্র। সহমর্মিতার তুফান মমতা বন্দোপাধ্যায় এর প্রার্থীর দিকে কতটা ধাবিত হয় সেটাই দেখার। টালিগঞ্জ এর সেলেব নায়িকা পায়েল সরকার সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েই প্রার্থী হয়েছেন। রাজনীতিতে তিনি যে নতুন তা স্বীকার করলেও তিনি বলছেন, লড়াই তো হচ্ছে তৃণমূলের কু শাসনের সঙ্গে বিজেপির সুশাসনের। মানুষ নিশ্চয়ই আমাকে ভোট দেবে। বেহালার পর্ণশ্রীতে নিজের বাড়িতে বসে রত্না চট্টোপাধ্যায় বললেন, মানুষ সব দেখছে। আমার ওপর কি অন্যায় হয়েছে বেহালার মানুষ এবার তার জবাব দেবে। পায়েল অবশ্য এই ব্যাক্তিগত ব্যাপারটি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইলেন না। মোদি-অমিত শাহ এর বিকাশ-বার্তাই তাঁর মুখে। রত্নার সাফ কথা- বেহালা পূর্বে এবার তিনজন নারী প্রার্থী। মানুষের যাকে পছন্দ তাকে বেছে নেবে। রত্না-পায়েলের যুদ্ধে এক তৃতীয় নারী প্রার্থীও আছেন। সেই বাম প্রার্থীকে নিয়ে কারও তেমন মাথাব্যাথা আছে বলে মনে হল না। বেহালা পূর্বের শোভন অনুরাগীদের ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে এই কেন্দ্রের ভাগ্য। কিন্তু, অবস্থা বলছে বেহালা পূর্বে অ্যাডভান্টেজ রত্না।
সেরা টিভি/আকিব