বাড়ি ফেরা হল না রবিউলের - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
বাড়ি ফেরা হল না রবিউলের - Shera TV
বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন

বাড়ি ফেরা হল না রবিউলের

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৮ মার্চ, ২০২১

অনলাইন ডেস্ক:
‘মা আমি চাটখিলের একটি মসজিদে ইন্টারভিউ দিয়ে রমজানের খতমে তারাবির জন্য ইমাম নির্বাচিত হয়েছি। গতকাল আমার পরীক্ষা শেষে রোববার বাড়ি ফিরবো।’ গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে শেষবারের মতো মাকে ফোন দিয়ে এ কথাগুলো বলেছিল কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার উত্তর হাওলা ইউনিয়নের বরল্লা গ্রামের আবদুল জব্বারের মেজো ছেলে হাফেজ রবিউল হোসাইন। নিয়তির নির্মম পরিহাসে আর বাড়ি ফেরা হলো না তার! সে গত শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে হাটহাজারীতে মুসল্লিদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের ছোড়া গুলিতে নিহত হয়েছে।।

রবিউল হোসাইনের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে স্বজনদের বুকফাটা আর্তনাদ ও শোকে এলাকার আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। শান্ত, সদালাপী ও মিষ্টভাষী রবিউলের নির্মম মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি এলাকাবাসী ও স্বজনরা। রাজমিস্ত্রি পিতার ৪ সন্তানের সংসারে হাফেজ রবিউল হোসাইন দ্বিতীয়। তার অপর দুই ভাইও পবিত্র কোরআনের হাফেজ। স্বজনরা জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে পড়াশোনার পাশাপাশি নোয়াখালীর চাটখিলের একটি মসজিদে ইমামতি করতো। দাওরায়ে হাদীস পরীক্ষা দিতে গত ১৭ই মার্চ সে হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়।

গত ২৫শে মার্চ রবিউলের সঙ্গে তার মায়ের সর্বশেষ কথা হয়। ২৭শে মার্চ পরীক্ষা শেষ হলে ২৮শে মার্চ বাড়ি ফিরবে বলে মাকে জানায় রবিউল। এরমধ্যে ২৬শে মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের পর হাটহাজারীতে মুসল্লিদের বিক্ষোভে পুলিশের ছোড়া গুলিতে নিহত হয় রবিউল। স্বজনদের দাবি, রবিউল বিক্ষোভে যায়নি। নামাজের পর ভাত খেয়ে মাদ্রাসায় ফেরার পথে সে বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়ে পুলিশের ছোড়া গুলিতে নিহত হয়। রবিউলের পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত রবিউল হোসেন কোনো রাজনৈতিক দল-মতের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না।

শান্ত স্বভাবী ও পবিত্র কুরআনের হাফেজ হওয়ায় নিজ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ তাকে ভালোবাসতেন। রবিউলের মৃত্যুতে দল-মত নির্বিশেষে স্থানীয় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন। ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে রবিউলের পিতা আবদুল জব্বার বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো রাজনীতি করতো না। সে পরীক্ষা দিতে হাটহাজারী গিয়েছিল। আমার ছেলেকে কেন হত্যা করা হয়েছে? সেতো নিরপরাধ ছিল।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক আহমেদ বলেন, ‘নিহত রবিউল হোসেন আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন। আমি যতটুকু জানি, তিনি কোনো রাজনীতি করতেন না। তার স্বভাব-চরিত্রও খুব ভালো ছিল। মানুষের সঙ্গে খুব সহজে মিশে যেতে পারতেন। তার নির্মম মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’

সেরা টিভি/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360