মিয়ানমারে চলমান বিক্ষোভে সামরিক বাহিনীর হাতে প্রান হারানোর সংখ্যা ছাড়াল ৫০০ এর ঘর - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
মিয়ানমারে চলমান বিক্ষোভে সামরিক বাহিনীর হাতে প্রান হারানোর সংখ্যা ছাড়াল ৫০০ এর ঘর - Shera TV
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০৫ অপরাহ্ন

মিয়ানমারে চলমান বিক্ষোভে সামরিক বাহিনীর হাতে প্রান হারানোর সংখ্যা ছাড়াল ৫০০ এর ঘর

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১

অনলাইন ডেস্ক:
সামরিক জান্তার গুলিতে সোমবারও মিয়ানমারে কমপক্ষে ১৪ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ১লা ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর জান্তার গুলিতে নিহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। এ সংখ্যা কমপক্ষে ৫১০। একদিকে চলছে বিক্ষোভকারীদের রাতের বেলা শোক প্রকাশ করতে মোমবাতি প্রজ্বলন। অন্যদিকে তারা নতুন করে গণঅসহযোগ আন্দোলন শুরু করছেন আজ মঙ্গলবার থেকে। তারা এদিন নতুন কৌশল নিয়েছেন। অধিবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মোড়ে বাসার সব গার্বেজ বা ময়লা আবর্জনা ফেলতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত একটি পোস্টারে বলা হয়েছে, এই গার্বেজ স্ট্রাইক হলো জান্তার বিরুদ্ধে ধর্মঘটের প্রতীক।
এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অ্যাসিসট্যান্স এসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) বলেছে, সোমবার যে ১৪ জন নিহত হয়েছেন তার মধ্যে কমপক্ষে ৮ জনই ইয়াঙ্গুনের দক্ষিণ দাগোন এলাকার। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, এদিন বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় বালুর বস্তা ফেলে ব্যারিকেড দিয়েছিল। তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে ওই ব্যারিকেড তুলে নেয়ার সময় নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী সাধারণত যেসব অস্ত্র ব্যবহার করে তার চেয়ে ভারি অস্ত্র দিয়ে গুলি করেছে। তবে কোন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছে, সহিংস সন্ত্রাসী লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা ‘রায়ট’ অস্ত্র ব্যবহার করেছে। মঙ্গলবার দক্ষিণ দাগোন এলাকার একজন বাসিন্দা বলেছেন, রাতভর ওই এলাকায় গুলির শব্দ পাওয়া গেছে। এতে আরো অনেক মানুষ নিহত হয়ে থাকতে পারেন। এ বিষয়ে পুলিশ বা জান্তা সরকারের মুখপাত্র কোনো উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ওদিকে মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে বিক্ষোভকারীদের হত্যা ও নিষ্পেষণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ।
এএপিপি বলেছে, অভ্যুত্থানের পর বিক্ষোভ থামাতে সামরিক জান্তা প্রায় দু’মাসের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহতা সৃষ্টি করে শনিবার। ওই একদিনে কমপক্ষে ১৪১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এই বিক্ষোভের নেপথ্যে থেকে যে গ্রুপগুলো ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে তার মধ্যে জেনারেল স্ট্রাইক কমিটি অব ন্যাশনালিটিজ অন্যতম। তারা সোমবার জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রতি খোলা চিঠি লিখেছে। নিরাপত্তা বাহিনীতে নিয়োজিত এমন সদস্যদের প্রতি আহ্বানে বলা হয়েছে সামরিক বাহিনীর অন্যায় নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে তাদের পাশে অবস্থান করে সহায়তা করতে। আন্দোলনের নেপথ্যে যেসব গ্রুপ আছে তার মধ্যে অন্যতম মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স আর্মি, আরাকান আমি, তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি।

সেরা টিভি/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360