অনলাইন ডেস্ক:
গলার টনসিলের চিকিৎসা করাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় মেয়ের বাড়িতে এসেছিলেন খাদিজা বেগম (৫০)। চিকিৎসা শেষে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ হয়ে গ্রামের বাড়ি বরিশালের স্বরূপকাঠিতে ফেরার উদ্দেশ্যে সাবিত আল হাসান লঞ্চটিতে ওঠেন তিনি। তার মরদেহ সামনে রেখে কাঁদছিলেন মেয়ে নাজনীন। বলছিলেন, মায়ের পরনে বোরকা থাকলেও লাশের শরীরে বোরকা ছিল না। বাঁচার জন্যই হয়তো গায়ের বোরকা খুলে ফেলেছিলেন তিনি। ‘আমার মায় সাঁতার জানে তারপরও বাঁচতে পারলো না। রাক্ষুসে জাহাজ আমার মায়রে ডুবাইয়া মারলো।
রোববার সন্ধ্যার কিছু আগে এসকেএল-৩ নামের একটি কোস্টার জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে অন্তত ২০০ মিটার লঞ্চটিকে টেনে নিয়ে যায়। এরপর লঞ্চটি যাত্রীসহ ডুবে যায়। আশপাশে কোনো নৌকা না থাকায় অনেকেই রক্ষা পাননি। স্বজনদের গগন বিদারী কান্না-আহাজারি আর শ্বাসরুদ্ধর ১৯ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযান শেষে শীতলক্ষ্যায় জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চটি উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। রবিবার রাত থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশু ও নারীসহ মোট ২৯টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী দুর্ঘটনায় মোট নিখোঁজের সংখ্যা ছিল ৩৫ জন। তবে ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে ৪৬ জন যাত্রী ছিল বলে যে তথ্য বিআইডব্লিউটিএ ও লঞ্চ মালিক সমিতির তরফ থেকে দেয়া হয়েছিল সেটি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ পোষণ করেছেন কয়েকজন বেঁচে যাওয়া যাত্রী।
সেরা টিভি/আকিব