স্টাফ রিপোর্টার:
করোনা আক্রান্ত বেগম খালেদা জিয়ার শরীরে জ্বর বেড়েছে। তবে এই মুহূর্তে হাসপাতালে নেয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এফ এম সিদ্দিকী। শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে গুলশানে বেগম জিয়ার বাসায় তার সবশেষ শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর চিকিৎসক জানান, ফুসফুসে সামান্য সংক্রমণ থাকলেও, ভালো আছেন তিনি। আপাতত বাসাতেই তার চিকিৎসা চলবে। যে কোনো সময় প্রয়োজন হলে তাকে হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতি আছে বলেও জানান চিকিৎসক।
গত ১০ এপ্রিল করোনা পরীক্ষা করান বিএনপি চেয়ারপারসন। পরদিন পরীক্ষায় পজিটিভ শনাক্ত হন তিনি। বেগম জিয়ার পাশাপাশি তার বাসার আরো ৮ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন হাসপাতাল থেকে বাসভবনে ফেরার পর খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের সিটি স্ক্যান রিপোর্ট অনেক ভালো অবস্থানে। তার রিপোর্টে যেটা পাওয়া গেছে তা অত্যন্ত মার্জিন পর্যায়ে আছে, যেটাকে মাইনর হিসেবে ধরা যায়। তার করোনার উপসর্গ খুবই কম।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বিএনপির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, করোনা আক্রান্ত খালেদা জিয়ার ফুসফুসে সংক্রমণের মাত্রা যেটা পাওয়া গেছে সেটা সাত শতাংশের মতো। যা সন্তোষজনক বলছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে তার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়৷
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, আইসিডিডিআর,বিতে শনিবার (১০ এপ্রিল) খালেদা জিয়ার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেই রিপোর্টটি আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এসেছে যেখানে দেখা গেছে তিনি করোনা পজিটিভ।
সেরা টিভি/আকিব