স্টাফ রিপোর্টার:
ভারতে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরা ২৫৬৪ জন বাংলাদেশিকে দুই সপ্তাহের জন্য খুলনা বিভাগের সাত জেলায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বর্তমানে যশোরে ১১৪৯ জন, নড়াইলে ৯৯ জন, খুলনায় ৫২১ জন, ঝিনাইদহে ১৬৩, সাতক্ষীরায় ৩৩০ এবং মাগুরায় ৫০ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। বাকি ২৩৯ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় নতুন করে কাউকে সেখানে আবাসনের উপায় নেই। এ অবস্থায় ৯ ও ১০ মে বেনাপোল থেকে দেশে প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে। এরপর ১১ মে ১৪০ জনের কোয়ারেন্টাইন শেষ হলে ওইদিন থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০০ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনা হবে।
রবিবার খুলনায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে গৃহীত কার্যক্রম প্রসঙ্গে বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন এসব তথ্য জানান। বর্তমানে সীমান্তের ওপারে আরও পাঁচশ’ জন বাংলাদেশি দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছেন।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিভাগীয় কমিশনার জানান, ভারত থেকে করোনা সংক্রমিত অবস্থায় এই মুহূর্তে কাউকে দেশে ফেরত আনা হবে না। এছাড়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রবিবার (৯ মে) থেকে যশোর জেলার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলোতে বিজিবি মোতায়েন করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে এরপর অন্য জেলার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলোতেও বিজিবি মোতায়েন করা হবে।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, যাত্রী আনা নেয়া এবং খাবারসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিতকরণে জেলা প্রশাসন সার্বিক সমন্বয় করছে। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা সবাই সুস্থ আছেন। যাদের করোনা পজেটিভ রয়েছে তাদের সংক্রমণজনিত জটিলতা নেই। তবে সংক্রমিত ব্যক্তিদের সম্পূর্ণ আলাদা করোনা ইউনিটে রাখা হবে। মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত, নতুন কোন সংক্রমিত যাত্রীকে আনা হবে না। আগামী ১১ মে তারিখে ২৬ এপ্রিল আগত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন্টন শেষ হবে। এসব ব্যক্তিরা সাফল্যের সাথে কোয়ারেন্টাইন্টন সমাপ্ত করার সার্টিফিকেট পাবেন।
সেরা টিভি/আকিব