স্টাফ রিপোর্টার:
করোনা সংক্রমণ রোধে বন্ধ ঘোষণা করা পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল ফের স্বাভাবিক করে দেয়া হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ রোধে ঘরমুখো মানুষের ঢল ঠেকাতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিসি। তবে, দুদিন পরই আবার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলো বাংলাদেশে নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিসি। ঘরমুখো যাত্রীদের বিড়ম্বনা এড়াতে ফের স্বাভাবিক করে দেয়া হলো ফেরি চলাচল। এখন থেকে আগের মতোই স্বাভাবিকভাবে চলাচল করবে ফেরি। সোমবার (১০ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিআইডব্লিউটিসি। একইসঙ্গে, ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে জরুরি ফেরির সংখ্যা।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, সোমবার বিকেল ৫ টা থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৩টি ফেরির স্থলে আরো কয়েকটি ফেরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ঘাট এলাকায় অন্য কোন যানবাহন না থাকায় পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে।
লকডাউনের কারণে এই রুটে কার্যত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্স ও মরদেহবাহী গাড়ি পারাপারের জন্য ৩টি ফেরি নিয়োজিত ছিল।
এদিকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিন পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ ছিলো।পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ফেরিতেই দুই তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি তিন-চারশ’ করে যাত্রী পার হয়েছে। সেক্ষেত্রে পাড় হওয়া যাত্রীদের মাঝে সামাজিক দূরত্ব মানার কোনও বিষয় লক্ষ্য করা যায়নি।
করোনা সংক্রমণ রোধে শিমুলিয়া ও পাটুরিয়া নৌরুট বন্ধ থাকার পরেও ঘরমুখো মানুষের জনস্রোত না কমায় ফেরি ঘাটে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এরপরও ঝুঁকি নিয়েই নানা উপায়ে বাড়ির পথে যাত্রা করছেন তারা।
এর আগে, গেল ৮ই মে মধ্যরাতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিসি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দিনে বন্ধ থাকবে ফেরি চলাচল। তবে, পণ্যবাহী পরিবহণ পারাপারের জন্য শুধুমাত্র রাতে ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্তের কথা জানায় বিআইডব্লিউটিসি।
সেরা টিভি/আকিব