অনলাইন ডেস্ক:
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় এক বৃদ্ধা (৮২)কে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ডামুড্যা থানায় অভিযোগ করেছেন ওই বৃদ্ধা। মঙ্গলবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা হলো- শিধলকুড়া ইউনিয়নের আরমান বেপারীর ছেলে সামিম বেপারী (৩০) ও একই এলাকার তার বন্ধু শহীদ মাদবরের ছেলে হাসান মাদবর (২৮)। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বৃদ্ধার আর্তচিৎকার শুনে পাশের ঘরের লোকজন ছুটে আসে। ঘরে ঢোকার চেষ্টা করলে ভিতর থেকে আটকানোর কারণে ঢুকতে পারেনি স্থানীয়রা। পরে সামিম ও হাসান পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার নারী বলেন, জীবনে বড় পাপ করেছি।
না হলে আজ এই দিনটা এমন হতো না।
তিনি বলেন, স্বামী মারা যায় অনেক বছর আগে। ঘরে আমি একাই থাকি। ৩ মেয়েই থাকে শ্বশুরবাড়িতে। প্রতিদিনের মতো রাতে শুয়ে পড়ি। অসুস্থ ছিলাম। রাতে মাঝে-মধ্যেই সামিম আসে ঘুমাতে। কালও পুলিশ আসছে ওকে ধরে নিতে- এই কথা বলায় সরল মনে দরজা খুলে দেই। তারা ঘরে ঢুকে দরজা আটকে পাশের খাটে গিয়ে শোয়। আমি ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ তারা আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুখ চেপে রাখায় আমি চিৎকার করলেও বের হয়নি। হঠাৎ মুখ ছুটে যাওয়ায় জোরে চিৎকার করি। পাশের ঘরের রিনা, ওর জামাইসহ আরও অনেকে ছুটে আসে। প্রত্যক্ষদর্শী রিনা বেগম বলেন, রাতে প্রায় ৩টার দিকে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। তখন শুনতে পাই পাশের ঘরের নারী চিৎকার করছে। আমি মনে করেছিলাম, অসুস্থ হয়ে এমনটা করছে। অনেক সময় পর তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে গেলে হঠাৎ বলে ওঠে তোরা কে কোথায় আছত আমারে বাঁচা সামিম আর হাসান আমাকে মেরে ফেলতাছে। আমি দরজা ধাক্কা দিলে ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় খোলেনি। পরে সে বলে ওঠে ওরা পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। দৌড়ে পিছন গেলে দেখি দুইজন দৌড়ে যাচ্ছে। কিন্তু অন্ধকারে কে সেটা চিনতে পারিনি। ঘরে ঢুকে তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় খাটে পড়ে থাকতে দেখি। সামিমের দাদা সামসুল ইসলাম (৭৮) বলেন, আমার নাতি নেশাপানি করে, কিন্তু কোনো মেয়েলি সমস্যা নেই। এলাকার মানুষ আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
ডামুড্যা থানা অফিসার্স ইনচার্জ (তদন্ত) প্রবীণ চক্রবর্তী বলেন, ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সেরা টিভি/আকিব