অনলাইন ডেস্ক:
সম্প্রতি ভারতের কেরালায় এক বাংলাদেশি তরুণীকে বীভৎস কায়দায় যৌন নির্যাতনের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াসহ সর্বত্র। ওই ঘটনার সূত্রপাত টিকটক অ্যাপস ঘিরে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ৩-৪ যুবক ও একটি মেয়ে মিলে এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করছে। এই ভিডিও সূত্র ধরে অনুসন্ধান করে রিফাজুল ইসলাম হৃদয় নামের এক নির্যাতনকারীকে শনাক্ত করে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।
টিকটক হৃদয় বাবু নামে পরিচিত বাংলাদেশি ওই যুবক বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও ভারতের কয়েকটি রাজ্যের কিছু অপরাধীর সঙ্গে মিলে মানব পাচারের আন্তর্জাতিক চক্র গড়ে তুলেছেন। এই চক্রটির নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ, ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইসহ কয়েকটি দেশে বিস্তৃত।
এদিকে ভারতে গণধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি তরুণীর দেশে ফিরে এসে মানবপাচার আইনে মামলা করেছেন। তিনি ভয়ঙ্কর সব তথ্যও দিয়েছেন পাচারকারী ও নিপীড়কদের সম্পর্কে। ধর্ষণের শিকার তরুণী জানান, টিকটকের মাধ্যমে চক্রটির সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল। এই চক্রের মাধ্যমে প্রায় দেড় হাজার নারী পাচারের শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি ভারতে গ্রেফতার মগবাজারের ‘টিকটক’ হৃদয় বাবু এই চক্রের সমন্বয়ক। এরপরই নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
টিকটক-লাইকিসহ বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের অপরাধীদের তালিকা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেছেন, টিকটকসহ বিতর্কিত অ্যাপসগুলো নিষিদ্ধ করার সময় এসেছে।
সেরা টিভি/আকিব