ডেস্ক রিপোর্টার:
জীবনের মায়া তুচ্ছ করে ভয়াল সমুদ্রের বিপজ্জনক পথে কাঠ বা প্লাস্টিকের বোটে চড়ে ইউরোপ যাত্রায় নেতিবাচক রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশিরা। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ৫ মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৫ হাজার তরুণ-যুবক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছেছেন। তার মধ্যে ২৬০৮ জন বাংলাদেশি বলে পরিচয় দিয়েছেন এবং সেটা ধরেই ইতালি উপকূলে তাদের প্রাথমিক নিবন্ধন হয়েছে। অনিয়মিত ওই নাগরিকদের বেশির ভাগই অভিবাসন প্রত্যাশী, কেউবা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী। ইউরোপভিত্তিক প্রতিষ্ঠিত জরিপ সংস্থা স্ট্যাটিস্তা ওই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রকম গ্রাফ বা লেখচিত্রও প্রকাশ পেয়েছে, তাতে শীর্ষ স্থানে রাখা হয়েছে বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে তিউনিশিয়া। দেশটির ২১১৩ নাগরিক ৫ মাসে ইতালি পৌঁছে রিপোর্ট করেছেন।
অভিবাসন প্রত্যাশির তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আইভোরিকোস্ট। দেশটির ১৪১০ নাগরিক দেশটিতে পৌঁছেছেন এবং তাদের নাগরিকত্বের বিষয়ে প্রাথমিক যে তথ্য শেয়ার করেছেন সে মতেই নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।
রিপোর্ট বলছে, ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশীদের পছন্দের গন্তব্য তালিকায় শীর্ষেই থাকছে ইতালি। গত ৭ বছরের চিত্র তাই। বেশির ভাগ সময় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও ২০২০ সালে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী আশ্রয় নিয়েছিল গ্রীসে। তাদের বেশির ভাগই সমুদ্র পথে গ্রীস পৌঁছায়। তবে সেই বছরে স্থলপথেও ১৫০০ অভিবাসী গ্রীসে প্রবেশ করে। সে বছর ইতালি এসেছিল দ্বিতীয় স্থানে, এরপরেই ছিল স্পেন। ২০১৪ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অভিবাসী ইউরোপ পৌঁছে ছিল ২০১৬ সালে। ওই বছর কেবল ইতালি উপকূলেই অবতরণ করেছিল ১ লাখ ৮১ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে প্রচারিত স্ট্যাটিস্তার রিপোর্টে বলা হয়, ইতালিতে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বড় অংশ আসে সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে। তবে উত্তর আফ্রিকায় শিকড় রয়েছে এমন লোকজনও ঢুকছে। কিন্তু বিস্ময়কর হচ্ছে সাগর পথে ইতালি যাত্রার ড্যাশবোর্ড ‘মোস্ট ফ্রিকুয়েন্ট ন্যাশনালিজিট ডিক্লিয়ার্ড আপন অ্যালাইভালস’-এ শীর্ষ স্থান দখলকারী ১০ রাষ্ট্রের তালিকায় ঘুরে ফিরে দক্ষিণ এশিয়ার ৩ দেশ-বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থাকছেই।
সেরা টিভি/আকিব