মসজিদে নববিতে ৫০ বছর ধরে ইবাদত বন্দেগিতে কাটানো বৃদ্ধের মৃত্যু - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
মসজিদে নববিতে ৫০ বছর ধরে ইবাদত বন্দেগিতে কাটানো বৃদ্ধের মৃত্যু - Shera TV
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন

মসজিদে নববিতে ৫০ বছর ধরে ইবাদত বন্দেগিতে কাটানো বৃদ্ধের মৃত্যু

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২১ জুন, ২০২১

অনলাইন ডেস্ক:

সৌদি আরবের পবিত্র মসজিদে নববির পাশে অবস্থানকারী প্রবীণতম ব্যক্তিত্ব শায়খ মহিউদ্দিন হাফিজুল্লাহ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০৭ বছর। শনিবার মসজিদে নববিতে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত তিনি মসজিদে নববিতে অবস্থান করেছেন এবং মৃত্যু অবধি নিয়মিত মসজিদে নববিতে যাতায়াত করতেন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, শায়খ মহিউদ্দিন ছিলেন মদিনা নগরীর প্রবীণদের অন্যতম। ইসলামে দ্বিতীয় খলিফা উমর বিন খাত্তাব (রা.)-এর বংশধর। ইসলামের বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ও আলেম মহিউদ্দিন ইবনে আরাবি (রহ.) ছিলেন তার পূর্বপুরুষ। সৌদির পবিত্র মক্কা-মদিনার ইসলামী স্থাপনার ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদ আবু মালিক জানান, ‘প্রয়াত ব্যক্তি অত্যন্ত হাস্যোজ্জ্বোল ও কোমল মনের অধিকারী ছিলেন। সর্বদা আল্লাহর জিকির করতেন। পবিত্র কোরআনে পাঠের সঙ্গে তার ছিল গভীর বন্ধুত্ব।’

এক টুইট বার্তায় তিনি জানান, ‘মরহুমের কোনো স্ত্রী ও সন্তান ছিল না। একজন দানশীল ব্যক্তির সহায়তায় তিনি মসজিদে নববির পাশে অবস্থান করতেন। গত ৩০ বছর যাবত আমি তাকে পিঠ বাঁকা করে মসজিদে যাতায়াত করতে দেখছি। মসজিদে নববিতে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আদায় করতেন। মদিনার পবিত্র হারাম শরিফ থেকে তার বাসার দূরত্ব ছিল প্রায় তিন কিলোমিটার। প্রতিদিন ফজরের দুই ঘণ্টা আগে ঘর থেকে বেরিয়ে জিকির করতে করতে তিনি মসজিদে আসতেন।’

তিনি আরও জানান, ‘তিনি সব সময় নিচের দিকে তাকিয়ে হাঁটতেন। এদিক সেদিক তাকাতেন না। মদিনা নগরীর কারবান ও তাজুরি এলাকা থেকে তিনি প্রায় হেঁটে আসতেন। বাবুস সালাম ফটক দিয়ে তিনি মসজিদে নববিতে প্রবেশ করতেন। ফজরের নামাজ পড়ে ইশরাক পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন। এরপর ঘরে ফিরে আবার জোহরের আগে মসজিদে এসে রাতের বেলা এশার নামাজ আদায় করে ঘরে ফিরতেন। এভাবেই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি মসজিদে আসা-যাওয়া করতেন।’

মুহাম্মদ আবু মালিক জানান, ‘হারামের মধ্যে আমি তার সঙ্গে অনেক সাক্ষাত করেছি। মসজিদ নববি দীর্ঘ দিন বন্ধের পর খোলা হলে তার সঙ্গে সাক্ষাত করি। তখন আমাকে দেখে তিনি কেঁদে ফেলেন। তার দুচোখ বেয়ে আনন্দের অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। তখন মসজিদে নববি ও রওজা শরিফে যাওয়ার জন্য তার গভীর ভালোবাসা ও আক্ষেপ দেখতে পাই’।

সেরা টিভি/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360