স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকাকে সারা দেশ থেকে নয় দিনের জন্য বিচ্ছিন্ন করতে চলাচলে নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে, রাজধানীর প্রবেশদ্বারগুলোতে তৎপর আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। যানচলাচল বন্ধ থাকায় পায়ে হেঁটে রাজধানীতে যাতায়াত করছেন আশেপাশের জেলার মানুষ। তবে জরুরি সেবা ও পণ্যবাহী যানবাহন স্বাভাবিক নিয়মেই চলেছে।
ঢাকার আশপাশের সাত জেলা নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ি, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে চলছে লকডাউন। সেই সাথে ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে বসানো হয়েছে কড়া পাহারা। ঢাকায় ঢুকতে কিংবা বের হতে দেয়া হচ্ছে না দূরপাল্লার যানবাহনকে। শুধু জরুরি সেবায় নিয়োজিত পরিবহণ ঢাকার বাইরে বের হওয়ার এবং প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছে।
বিভিন্ন প্রয়োজনে যারা রাজধানীতে আসা যাওয়া করছেন, গণপরিবহন না থাকায় তাদের ভেঙে ভেঙে রাজধানীতে প্রবেশ করতে হচ্ছে। গাবতলীর সাথে মানিকগঞ্জ যুক্ত থাকায় সাভারের পরিবহণগুলোর ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরোপ করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এতে সাভার থেকে আসা ও ঢাকা থেকে সাভারগামী মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
যাত্রাবাড়ী এলাকাতেও একই চিত্র। পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জে লকডাউন হওয়ায় সেই পথ দিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যাত্রীরা অনেকটাই বিপাকে পড়েছেন। লকডাউনের খবর না জানায় গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পরেছেন সাধারণ মানুষ।
রাজধানীর আরেক প্রবেশপথ পোস্তগোলা চীন মৈত্রী সেতু এবং ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ের ধলেশ্বরী সেতু টোলপ্লাজা দিয়েও দূরপাল্লার বাস চলাচল করছেনা। দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রাজধানীর যোগাযোগের প্রতিটি প্রবেশদ্বারে রয়েছে পুলিশের কড়া নজরদারি।
চলতি মাসে হঠাৎ করেই সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে এর প্রভাব ঢাকায় আসতে থাকায় রাজধানীকে সারা দেশ থেকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এই সিদ্ধান্তের পর রেলপথ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রেন এসব জেলার উপর দিয়ে চললেও থামবে না। আর বিআইডব্লিউটিএ ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি দূরপাল্লার সব বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
সেরা টিভি/আকিব