স্পোর্টস ডেস্ক:
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৯ জুলাই বাংলাদেশে পা রাখবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সফরের জন্য ১৮ সদস্যের চূড়ান্ত দলও ঘোষণা করেছে তারা। যে দলটি ওয়েস্ট ইন্ডিজও সফর করবে।
কোভিড পরিস্থিতিতে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে সফরে অস্ট্রেলিয়ার ঢিলেঢালা শর্ত থাকলেও বাংলাদেশে সফরে নানা শর্ত দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। সেসব শর্ত কঠিন হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) মেনে নিয়েছে। এজন্য গত কয়েকদিন সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠকও করেছে বিসিবির প্রতিনিধি দল।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ঠিকঠাক সময়ে বাংলাদেশে আসবে। তাদের শর্তগুলো কঠিন ছিল। তবে প্রয়োগ করা অসম্ভব ছিল না। বিদেশি দলগুলোর সুবিধা দিতে বিসিবি, সরকার প্রায় সময়ই নিয়ম শিথিল করে থাকে। এবারও তেমন কিছু হবে। তবে সকল প্রক্রিয়া ওদেরও মানতে হবে। শুধু বিশেষ সুবিধা পাবে এতটুকুই।’
পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশে আসবে অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল, এক ভেন্যুতে সবগুলো ম্যাচ আয়োজন করতে হবে। বিসিবির দুটি ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজনের ইচ্ছা থাকলেও মিরপুর শের-ই-বাংলায় পাঁচটি ম্যাচ হবে। দুই বোর্ডের দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে এ বিষয়টি উল্লেখ করা আছে।
বাংলাদেশে নেমে হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের ঝামেলায় পড়তে চায় না অজিরা। বিশেষ করে কোভিড পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই বিমানবন্দরের গণরুমে ইমিগ্রেশনের কাজ করতে আগ্রহী নয় তারা। এজন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে বলেছে তারা। বিসিবি দেশের ইমিগ্রেশন বিভাগের সঙ্গে আলাপ করে সেই ব্যবস্থা করবে জানিয়েছে।
জালাল ইউনুস বলেন, ‘ইমিগ্রেশন বিভাগ বিশেষভাবে তাদের কাজ সম্পন্ন করবে। তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হবে যেন খুব সহজেই বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা যায়। এরপর তাদের পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
অস্ট্রেলিয়া উঠবে হোটেল সোনারগাঁওয়ে। যেখানে কোভিড পরিস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা দলকেও আতিথেয়তা দিয়েছিল বাংলাদেশ। সোনারগাঁও হোটেল পুরো আইসোলেশনে রাখার শর্ত দিয়েছে অজিরা। যতদিন তারা হোটেলে থাকবেন, ততদিন রেস্টুরেন্ট, সুইমিংপুল সাধারণ অতিথিরা ব্যবহার করতে পারবেন না। এছাড়া ভেন্যু, আসা-যাওয়ার পথে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থাও থাকতে হবে।
২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়া শেষবার বাংলাদেশ এসেছিল। সেবার দুই টেস্ট খেলেছিল স্টিভেন স্মিথের দল। এবার শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা। আগামী ৯ থেকে ১৬ জুলাই সেন্ট লুসিয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে। পরে তিনটি ওয়ানডে খেলবে ২০ থেকে ২৪ জুলাই। এরপর সরাসরি তারা আসবে বাংলাদেশে। আগস্টের শুরুতে ৯ দিনের ব্যবধানে দুই দল পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে।
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অনেক তারকা খেলোয়াড় বাংলাদেশ সফরের চূড়ান্ত দলে নেই। সেই তালিকায় আছেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও প্যাট কামিন্সের মতো ক্রিকেটার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফরের জন্য অস্ট্রেলিয়ার চূড়ান্ত দল:
অ্যারন ফিঞ্চ, অ্যাস্টন অ্যাগার, ওয়েস অ্যাগার, জেসন বেহানডর্ফ, অ্যালেক্স ক্যারি, ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান, নাথান অ্যালিস (রিজার্ভ), জস হ্যাজেলউড, মোয়াসেস হেনরিকস, মিচেল মার্শ, মিচেল স্টার্ক, বেন ম্যাকডারমট, রিলে মেরিডিথ, জশ ফিলিপে, তানভীর সাঙ্গা (রিজার্ভ), মিচেল সুয়েপসন, অ্যাস্টন টার্নার, অ্যান্ড্রু টাই, ম্যাথু ওয়েড ও অ্যাডাম জাম্পা।
সেরা টিভি/আকিব