স্টাফ রিপোর্টার:
আবদুর রহিম শেখ ও ফাতেমা বেগম স্বামী স্ত্রী। তারা গড়ে তুলেছেন জাল টাকার কারখানা। সেই কারখানায় ল্যাপটপ, কালার প্রিন্টার, আঠা ও আইকা, বিভিন্ন ধরনের রং, জাল টাকা তৈরির জন্য বিপুল পরিমাণ কাগজ, নিরাপত্তা সুতার বান্ডেল, লেমিনেটিং মেশিন, কাটার, বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের লগো সম্পন্ন বিশেষ কাগজ জমা করেছিলেন। যা দিয়ে তারা কোরবানির ঈদের আগে কোটি জাল টাকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু কোটি টাকা বানানোর আগেই ধরা পড়ে গেছেন।
তাদের দু’জনসহ পাঁচজনকে আজ সোমবার দুপুরে ডিসি ডিবি মশিউর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের একাধিক টিম গুলশানের বাড্ডা থানাধীন নুরের চালা সাঈদ নগরের একটি সাততলা বাড়ির ষষ্ঠ তলায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন গার্মেন্ট ব্যবসায়ী হেলাল খান, আনোয়ার হোসেন ও ইসরাফিল আমিন। কারখানাটি থেকে ১০০০ টাকা ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের প্রায় ৪৩ লাখ তৈরিকৃত জাল টাকা ও প্রচুর পরিমাণে জাল টাকা তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়।
ডিসি মশিউর রহমান জানান জাল ১০০টি কাগজের নোটের এক বান্ডেল জাল টাকা তৈরি করতে ৭/৮ হাজার টাকা খরচ হয়। সেই টাকা প্রতি বান্ডেল পাইকারি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় চক্রের সদস্যদের কাছে বিক্রি করে। পাইকাররা আবার এগুলোকে প্রান্তিক পর্যায়ের বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতাদের কাছে প্রতি বান্ডেল ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। যা রুট পর্যায়ের জাল টাকার কারবারিরা কখনো কখনো গহনা, কখনো কাপড়চোপড়, ভোগ্য পণ্য এমনকি পশুর হাটে বিক্রি করে ছড়িয়ে দিয়ে থাকে।
সেরা টিভি/আকিব