স্টাফ রিপোর্টার:
গণপরিবহন চালু হবার দ্বিতীয় দিন (শুক্রবার) ভোর থেকেই ঢাকার সাভারের ঢাকা-আরিচা এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল এই দুটি মহাসড়কে প্রায় ৩৩ কিলোমিটার যানজট লেগে আছে। এছাড়া একটি সড়কে ২১ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের জটলা লেগে আছে।
আসন্ন ঈদুল আজহা ঘিরে গরুবাহী ট্রাকের চাপ বেড়েছে এই দুই মহাসড়কে। এ ছাড়া যাত্রীবাহী পরিবহনের চাপও কম নয়। আর এতেই মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। বেলা ১১টার দিকে সাভারের ঢাকা-আরিচা, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, সড়কগুলোতে কয়েক কিলোমিটার থেমে থাকা গাড়ির লম্বা লাইন।
জানা গেছে, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে নবীনগর পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার যানজট, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর থেকে হেমায়েতপুর পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার যানজট।
এছাড়া টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া থেকে ধৌড় পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার সড়কের ভিন্ন স্থানে যানবাহনের জটলা লেগে আছে, থেমে থেমে চলছে পরিবহন। এসব মহাসড়কে হাজার হাজার যানবাহন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে হাজারো মানুষ।
এ বিষয়ে সাভার ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই এডিমন) আব্দুস সালাম বলেন, চন্দ্রা থেকে হেমায়েতপুর পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করে এখন কিছুটা কমাতে পেরেছি। আমাদের ট্রাফিক পুলিশের সব সদস্যের ছুটি বাতিল করা হয়েছে ও নতুন করে আরও ফোর্স যুক্ত করা হয়েছে।
যানজটের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, একদিকে ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছেন জনগণ, এ জন্য অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও ঘরমুখো মানুষের ভিড়। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে কোরবানির হাটে তুলতে ঢাকায় আসছে গরুবাহী গাড়ি। এজন্য উভয় দিকেই গাড়ির চাপ অনেক বেশি। এছাড়া দুই-একদিনের মধ্যে পোশাক কারখানা ছুটি হবে। তখন ভিড় বেশি হবে, তাই আগেই সাধারণ মানুষ বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন। যত বেলা বাড়ছে যানজট বেড়েই যাচ্ছে। তবে আমরা সড়কে রয়েছি, সড়কে যানজট নিরসনের চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সেরা টিভি/আকিব