লাইফস্টাইল ডেস্ক:
ওজন কন্ট্রোলের জন্য আমরা কত কিছু করি! ব্যায়াম, ডায়েট কন্ট্রোল আরও কত কী! কিন্তু সহজ কিছু ড্রিঙ্কস এর সাহায্যে যদি ওজন কন্ট্রোলের প্রক্রিয়াটা দ্রুত সম্ভব হয়, তবে কেমন হয় বলুন তো? চলুন দেখে নেই মধু দিয়ে কিভাবে ৩টি ওজন কন্ট্রোলের ড্রিঙ্কস তৈরি করা যায়!
বাহিরে প্রচন্ড গরম। এই গরমে সুস্থ থাকতে এবং প্রশান্তি আনতে চাই ফ্রেশ জুস। ঝটপট হাতের কাছের ইনগ্রিডিয়েন্স দিয়ে সহজলভ্য কিছু জুস বানিয়ে নিতে পারি। আজকে আমরা সহজলভ্য একটি জুস-এর রেসিপি আপনাদের জানাবো। আনারস ও আদার জুস। আনারসে ভিটামিন-সি রয়েছে, যা আমাদের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে। আনারস রুচি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আদা শরীরের জন্য খুব উপকারি। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এজেন্ট যা শরীরে রোগ জীবাণু ধ্বংস করে। আসুন জেনে নেই আনারস এবং আদা দিয়ে তৈরি একটি মজাদার জুস-এর রেসিপি!
১. আনারস কিউব- ২ কাপ
২. আদা কুচি- ১ কাপ
৩. চিনির সিরাপ- ২ কাপ
৪. লবণ- এক চিমটি
৫. পানি- ১/২ জগ
৬. বরফ কুচি- পরিমাণমতো
(১) প্রথমে ব্লেন্ডার-এ আনারস কিউব নিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
(২) তারপর একটি জগে আধা জগ পানি নিয়ে তাতে আদা কুচি ভিজিয়ে রাখতে হবে। ১৫ মিনিট পর পানি ছেঁকে নিতে হবে।
(৩) তারপর একটি পাতিলে পানি ফুটিয়ে তাতে চিনি দিয়ে সিরাপ তৈরি করে নিতে হবে।
(৪) সিরাপ তৈরি হয়ে গেলে আনারস ব্লেন্ড, আদার পানি, চিনির সিরাপ এবং এক চিমটি লবণ একে একে একটি পাত্রে মিশিয়ে নিতে হবে।
(৫) সব মিশিয়ে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন মজাদার আনারস আদার জুস।
ব্যস, হয়ে গেল খুব সহজে আনারস এবং আদা দিয়ে মজাদার একটি জুস। অনেক বাচ্চারা আনারস খেতে পছন্দ করে না। এইভাবে জুস তৈরি করে পরিবেশন করলে বাচ্চারা খেতে পছন্দ করবে।
বাঙ্গি অনেক উপকারী একটা ফল হলেও আমাদের দেশের ছোট বড় বেশির ভাগ মানুষই এই ফলটা একেবারেই খেতে চায় না। বাঙ্গিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পানি, ফ্যাটি এসিড, ফলিক এসিড,আমিষ, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি সহ আরও নানা উপাদান, যা আমাদের শরীরে রক্ত উৎপাদন করে, ক্ষুধামন্দা ভাব দূর করে, অ্যাসিডিটি, আলসার হতে বাধা দেয়, হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। এত পুষ্টিগুণসম্পন্ন অথচ বাড়ির সদস্যদের শতকরা একজনও খেতে চায় না এই ফলটি। তাই আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করবো যাতে করে সবাইকে এই ফলটি খাওয়াতে পারেন। তাহলে আর কথা নয়। চলুন জেনে নেই মজাদার ও স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর এই বাঙ্গির শরবত বানানোর রেসিপি।
১) বাঙ্গি- ছোট ১টি কুচি করে কাটা
২) মিষ্টি দই- আধ কেজি
৩) পানি- পরিমাণমত
৪) চিনি- স্বাদমতো
৫) বিট লবণ- হাফ চা.চা.
৬) কমলা রঙের ফুড কালার
৭) বরফ কুচি
ব্লেন্ডারে পানি দিয়ে আগে থেকে কেটে রাখা বাঙ্গিগুলোকে ভালো করে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিন এতে করে । এরপর ছাকা বাঙ্গি ব্লেন্ডারে আবার দিয়ে আবার সামান্য পানি দিন এরপর এর মধ্যে এক এক করে দিয়ে দিন দই, চিনি, বিট লবণ তারপর কিছুক্ষণ আবার ব্লেন্ড করুন। এরপর সামান্য কমলা রঙের ফুড কালার মিশিয়ে নিন। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন আর পরিবেশনের আগে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন এই জুস। ও হ্যাঁ, ফুড কালার ব্যবহার করার কারণ হচ্ছে দেখতে সুন্দর লাগায় বাচ্চাদের খুব সহজেই খাওয়ানো যায়। আর বড়রা যে বাঙ্গির নাম শুনলে নাক সিটকায় তারাও খাবে এই পানীয়। সত্যি বলছি বাসায় একদিন বানিয়ে খেয়ে দেখুন। তারপর প্রতিদিন রিকোয়েস্ট আসবে এই শরবত বানানোর। অন্য আর একদিন বাঙ্গির আরও একটি রেসিপি দেব যেটা আপনার বাসার বাচ্চাদের খুব পছন্দ হবে এবং খেতে চাইবে কথা দিচ্ছি।
ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি, গরমে আমার মায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো প্রতিদিন আমাদের সব ভাইবোনদের ধরে ধরে জোর করে হলেও লেবুর শরবত খাওয়াতে হবে। কেন? লেবুতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি! আর এই ভিটামিন সি আমাদের সিজনাল রোগ প্রতিরোধ করে বাঁচিয়ে রাখে নানান অসুখ থেকে। কিন্তু প্রতিদিন এত লেবুর শরবত খেতে ভালো লাগে বলুন? তাই, ভাবলাম যে একটু কিছু নতুন টেস্ট আনা যায় যদি, তাহলে আমিও খুশি আর মাও খুশি! নতুন লেমন স্ট্রবেরি জুস বানানোর রেসিপি-টি এবার দেখে নিন তাহলে!
১. প্রথমে ব্লেন্ডার-এ এক গ্লাস পানি নিন ও তাতে সম্পূর্ণ একটি লেবুর রস এবং অর্ধেক স্ট্রবেরি স্লাইস, চিনি, বিট লবণ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
২. এবার একটি গ্লাস-এ এই জুস-টি ঢেলে তাতে বাকি অর্ধেক স্ট্রবেরি স্লাইস নিয়ে চামচ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়তে থাকুন। দেখবেন খুব সুন্দর একটা কালার চলে এসেছে।
এইতো, তৈরি হয়ে গেলো লেমন স্ট্রবেরি জুস! একটি লাল স্ট্রবেরি স্লাইস ও লেবুর স্লাইস জুস-এর গ্লাস-এ সাজিয়ে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন! তো, গরমের তেষ্টায় একটু তুষ্ট হতে বানিয়ে নিতে পারেন এই প্রাণ জুড়ানো লেমন স্ট্রবেরি জুস আর আমাদের জানাতে ভুলবেন না যেন!
সেরা নিউজ/আকিব