বুধবার ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানির পর, বিকাল থেকে মাংস ভাগাভাগি শুরু হয়।যশোরের শার্শা উপজেলার সামটা গ্রামে। এই সামাজিক কোরবানির মাংস প্রস্তুত ও বিতরণ কাজ, চোলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।তাই কোরবানির এই মাংশ যাতে, গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছায়, সে জন্য তিন ভাগের এক ভাগ মাংস (লিল্লার অংশ) ,মহল্যার নির্দিষ্ট স্থানে জমা করা হয়।তারপর এই মাংস ভোক্তাদের মাঝে, বন্ঠন করে দেওয়া হয়।
সামটা এবতেদ্বায়ী মাদ্রাসা মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা ফারুক হাসান জানান,সামটা গ্রামে যারা পশু কোরবানি দেন,তারা প্রতিটি পশুর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ জমা দেন এই সামাজিক ভাগ-বণ্টনে।কেউ এই নিয়মের ব্যতিক্রম করলে তাকে সমাজের কাছে জবাবদিহির ব্যবস্থা রয়েছে।গ্রামে যারা কোরবানি করেননি তাদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়।এই সমাজভুক্ত প্রত্যেকের বাড়ির প্রতিটি সদস্যকে এক একটি ইউনিট ধরে তালিকা তৈরি করা হয়।এবার জমাকৃত মোট মাংশ ওজন দিয়ে তাকে ইউনিট দিয়ে ভাগ করে পরিবার প্রতি মাংস পৌঁছে দেওয়া হয়।আগে স্থানীয় মসজিদ থেকে মাইকিং করে আওতাভুক্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের ডেকে এনে মাংস বিতরণ করা হতো।
মাংস বন্টনকারি ইয়াকুব আলি সরদার বলেন, ‘কুরবানির গোস্ত আমরা সবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেই।তবে গরীব দুঃস্থদের অনেকে এসেও নিয়ে যায়।লোক লজ্জায় অনেকে কুরবানি না দিলিও গোস্ত নিতে আসতি পারে না,গোস্ত যাতে সবাই পায় তাই এই ব্যবস্থা।’
“এবারের কোরবানি ঈদে সামটা পশ্চিম পাড়ায় ৮৫০টি পরিবারের মাঝে মাংশ বিতরন করা হয়েছে।মাথাপিচু ৫৮০গ্রাম করে মাংশ দেওয়া হয়েছে। তবে যাদের বাড়ির লোক সংখ্যা ৩জন বা এর কম তাদেরকে মোট দুই কেজি মাংশ দেওয়া হয়েছে।” আজগার আলি বলেন,”গরীর হয়ে জন্মাইছি তাই কুরবানি দিতি পারিনে।আল্লা যাদের হেকমত দেছে তারা কুরবানি দেয়।রোজার ঈদি অল্পআদ্রেগ গোস্ত কিনি।তবে কুরবানির ঈদি আমাগের গোস্ত কিনা লাগে না।ওরা বাড়ি গোস্ত দিয়ে যায়।”
সামটার ইস্রাফিল ড্রাইভার বলেন,”আগে মাইকিং করে বলে দিতো কখন লিল্লার গোস্ত নিতি আসতি হবে।এখন প্রতি বছর কুরবানির পর বাড়ি গোস্ত দিয়ে যায়।তাই দিয়ে ছেলে পিলেদের খাওয়ায়, নিজেরা খাই।”