বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি করছে ভারত - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি করছে ভারত - Shera TV
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি করছে ভারত

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:

সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারিতে প্রযুক্তির ব্যবহারকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। বাংলাদেশের সঙ্গে জল, স্থল এবং আকাশসীমা পাহারায় ইসরায়েলি টেদার ড্রোন এবং থার্মাল ইমেজারের ব্যবহার শুরু করেছে তারা।

দৃশ্যত এখন বাহিনীর সদস্যদের সশরীরে মোতায়েন না করে আড়ালে থেকেই দক্ষতার সঙ্গে সীমান্ত নজরদারি করছে বিএসএফ।

দ্য হিন্দু জানায়, ধুরবি সেক্টরের জন্য ইসরায়েল থেকে অজ্ঞাত সংখ্যক টেদার ড্রোন কিনেছে বিএসএফ। দেশটির মেঘালয় থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কুচবিহার পর্যন্ত এ সেক্টর বিস্তৃত।

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতে উড্ডয়নে সক্ষম প্রতিটি টেদার ড্রোনের দাম ৩৭ লাখ রুপি। এতে রয়েছে সর্বোচ্চ দুই কিলোমিটারের মধ্যে দিনে ও রাতে ছবি তোলার ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গসহ পাঁচটি রাজ্যের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। আসামের সঙ্গে থাকা ২৬৩ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ১১৯.১ কিলোমিটার আবার নদী অংশ।

পশ্চিম আসামের ধুরবি সেক্টরের ৬১ কিলোমিটার সীমান্ত, যেখানে ব্রহ্মপুত্র নদীর প্রবাহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তা মানুষ দিয়ে নজরদারি অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। বিশেষ করে বর্ষাকালে এই অংশে নজরদারি আরও কঠিন হয়ে পড়ে।

বিএসএফের গুহাটি ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল পীযূষ মোরদিয়া দ্য হিন্দুকে বলেন, ‘সাধারণত রাতে পাচারের ঘটনা ঘটে থাকে। দৃষ্টিসীমার আড়ালে থাকে এমন জায়গাগুলো নজরদারি করাও সম্ভব হয় না। সর্বোচ্চ ১৫০ মিটার ওপর থেকে অব্যাহতভাবে ছবি তুলে পাঠাতে সক্ষম টেদার ড্রোন এখন আমাদের সেই শারীরিক সীমাবদ্ধতা ঘুচিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সাধারণ ড্রোন আর টেদার ড্রোনের মধ্যে পার্থক্য হলো সাধারণ ড্রোন ৩০ মিনিট উড্ডয়নের পর ব্যাটারি পরিবর্তনের জন্য নামিয়ে আনতে হয় কিংবা এটি ঝোড়ো বাতাসে পড়ে যেতে পারে। ধুরবি সেক্টরে ঝোড়ো বাতাস থাকে। অব্যাহত দমকা হাওয়াও টেদার ড্রোনের কাজে তেমন প্রভাব ফেরতে পারে না।’

অবশ্য মোরদিয়া স্বীকার করেছেন, গরু চোরাচালানি এবং মানবপাচারকারীরা টেদার ড্রোন শনাক্ত করতে পারে। তবে তাদেরকে যে দিন-রাত নজরদারিতে রাখা হচ্ছে এই বার্তা দেওয়াটাও উদ্দেশ্য বলে জানান তিনি।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ড্রোন ছাড়াও মানুষ, প্রাণী এবং অন্যান্য বস্তুর চলাচল শনাক্ত করতে থার্মাল ইমেজার এবং মাটি ও পানির নিচে বিশেষ সেন্সর ব্যবহার করছে বিএসএফ।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360