স্টাফ রিপোর্টার:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে যৌথভাবে টিকা উৎপাদনে চীনের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও ইনসেপ্টার ভ্যাকসিন লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এখন থেকে বাংলাদেশেই উৎপাদন হবে করোনা ভ্যাকসিন। দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করা হবে। এ সংক্রান্ত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইনসেপ্টা প্রতিমাসে ৪ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করতে পারবে।’ উৎপাদন শুরু করতে তিনমাস সময় লাগবে বলেও জানান মন্ত্রী। সোমবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্সের (বিসিপিএস) মিলনায়তনে যৌথভাবে টিকা উৎপাদনে সিনোফার্ম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও ইনসেপ্টার ভ্যাকসিন লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্টদূত লি জিমিং বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৬০টি দেশে ৮০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে চীন।’ চীনের টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বলেও জানান তিনি। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত্র আরও বলেন, ‘করোনার উৎপত্তি বৈজ্ঞানিক বিষয়, রাজনৈতিক নয়, আমরাও চাই উৎপত্তি নিয়ে আরও গবেষণা হোক। তবে, এ নিয়ে আমরা রাজনীতি বিরোধী।’
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ‘উৎপাদন শুরু হলে দেশে আর ভ্যাকসিন সংকট হবে না।’ টিকা সরবরাহ নিশ্চিত ও স্থিতিশীল হলে আবারও টিকা ক্যাম্পেইন চালানো হবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস চীন থেকে করোনার টিকার মূল ওষুধ দেশে নিয়ে আসবে। এরপর দেশে বোতলজাত ও মোড়কীকরণের কাজ সম্পন্ন করে পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত করবে।
সেরা টিভি/আকিব