আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ব্রেক্সিট গণভোটের উপর রাশিয়ার প্রভাব সংক্রান্ত তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ না করায় চাপের মুখে পড়ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷ ভোটারদের কাছে ‘বিস্ফোরক’ তথ্য গোপন রেখে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার অভিযোগ উঠছে৷
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের নিষ্পত্তি হয় নি৷ একই বছর ব্রিটেনে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত গণভোটেও মস্কোর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে৷ লন্ডনে রাশিয়ার দূতাবাস কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিদের ঠিক কতটা মদত দিয়েছে, সে বিষয়ে এক পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হয়েছে৷ মার্চ মাসেই সংসদের ইনটেলিজেন্স কমিটি সেই তদন্তের রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে৷ অক্টোবর মাসের শুরুতেই ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ও মন্ত্রিসভার দপ্তর সেটি প্রকাশ করার ছাড়পত্র দিলেও প্রধানমন্ত্রীর দফতর এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় নি৷ অথচ বোঝাপোড়া অনুযায়ী ১০ দিনের মধ্যে জনসনের সাড়া দেবার কথা ছিল৷
এদিকে বুধবার সংসদের অধিবেশন শেষ হচ্ছে৷ তারপর ১২ই ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচন৷ ফলে সংসদের পক্ষে আর সেই রিপোর্ট প্রকাশের জন্য চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে না৷ বিরোধীদের অভিযোগ, রিপোর্টে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ব্রেক্সিটপন্থিদের ভূমিকা সম্পর্কে নেতিবাচক কোনো বিষয় থাকলেও ভোটাররা কিছু জানতে পারবেন না৷ তাদের মতে, সে কারণে জনসন ইচ্ছা করেই রিপোর্টটি আপাতত ধামাচাপা দিতে চান৷ বিরোধীরা তাই শেষ প্রহরে সরকারের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করছে৷
বুধবারই বরিস জনসন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ঘোষণা করে তাঁর প্রচার অভিযান শুরু করছেন৷ সংসদ ভেঙে দিয়ে রানির সঙ্গে দেখা করে তিনি এই ঘোষণা করবেন৷ তারপর জনসন দলীয় প্রচার শুরু করবেন৷ ‘গেট ব্রেক্সিট ডান’ অর্থাৎ ক্ষমতায় ফেরার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ব্রেক্সিট কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে তিনি আসরে নামছেন৷ ব্রেক্সিট নিয়ে রাজনীতিকদের দীর্ঘ টালবাহানার কারণে ক্লান্ত ভোটারদের সমর্থন চাইছেন তিনি৷ প্রথা ভেঙে ডিসেম্বর মাসে আগাম নির্বাচন আয়োজনের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে পরিস্থিতির গুরুত্ব তুলে ধরতে চান জনসন৷
সেরা নিউজ/আকিব