গাজীপুরের স্বামী স্ত্রী দ্বন্দ্বে স্ত্রীকে খুন করেছে স্বামী।কাজের কথা বলে খুব ভোরে স্ত্রী জোসনাকে ঘরের বাইরে নিয়ে আসেন স্বামী কাদের। তারপর ড্রেনের পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ড্রেনের ভেতর লুকিয়ে রেখে ঘরে ফিরে যান।সকাল থেকে জোসনাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করে স্ত্রীকে ‘খুঁজতে’ শুরু করেন। টানা দুই দিন ধরে স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে চালিয়ে যান এই খোঁজাখুঁজির নাটক। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ধরে পড়ে গেছেন র্যাবের হাতে।
গতকাল বুধবার র্যাবের হাতে আটকের পর স্ত্রী জোসনাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন কাদের। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিকেলে গাজীপুর মহানগরীর সালনা ফ্লাইওভারের ড্রেনের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় জোসনার মরদেহ।
ঘাতক আব্দুল কাদের (৫৭) রাঙামাটির লংগদু থানার উত্তর সোনাই গ্রামের মৃত শেশু মিয়ার ছেলে। তিনি সালনা মোল্লাপাড়ায় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। স্ত্রী জোসনা একটি মেসে রান্নার কাজ করতেন।
র্যাব – ১ গাজীপুর ক্যাম্পের কম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। গত রবিবার ভোরে স্ত্রী মেসে রান্নার কাজে যাওয়ার সময় এগিয়ে দেওয়ার কথা বলে সঙ্গে যান আব্দুল কাদের। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ফ্লাইওভারের নিচে গিয়ে স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে ড্রেনের পানিতে ফেলে দেন। সেখানে পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ড্রেনেই লুকিয়ে রাখেন। ঘরে ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন কাদের। সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলে মেহেদী মায়ের খোঁজ করে।এ সময় ঘুম থেকে উঠে ছেলের সঙ্গে কাদেরও স্ত্রীকে খুঁজতে থাকেন। মঙ্গলবার সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করে ছেলে। মাকে ফিরে পেতে র্যাবের সহায়তা চায় সে। গতকাল সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসা থেকে আনা হয় কাদেরকে। দুপুরে তিনি স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ গুমের কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় কাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।