স্টাফ রিপোর্টার:
বিতর্কের রাজা গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। বিতর্ক সৃষ্টি করা যেন তার নেশা, পেশা। এটা না করলে তার ‘পেটের ভাত হজম হয় না’ টাইপ অবস্থা। তাই দুদিন পর পরই কোনো না কোনো বিতর্কের জন্ম দেন ‘সারেগামাপা’ খ্যাত এই কণ্ঠশিল্পী। সেই ধারাবাহিকতায় এবার গাঁজা খাওয়ার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন নোবেল।
ঘটনা বুধবারের। এদিন গায়ক তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, তিনি গাঁজায় টান দিচ্ছেন। তাকে এ কাজে সহযোগিতা করছেন অচেনা এক নারী। ছবিটি পোস্ট করে নোবেল ক্যাপশনে লেখেন, ‘গাঁজার নৌকা পাহাড়তলী যায়। ও মিরাবই।’
এই ছবি দেখে নোবেলের সমালোচনা করেছেন বহু নেটিজেন। কটাক্ষ আর তিরস্কারে ভরে গেছে কমেন্ট বক্স। কেউ কেউ আবার গায়কের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তাকে গালিও দিয়েছেন।
তবে শুধু নেটজনতা নয়, নোবেলের ওই ছবি দেখে ক্ষেপেছেন তার স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিলও। তিনি ওই ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, যাতে নোবেলকে শাস্তির আওতায় আনে। ফেসবুকে একটি লম্বা স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এসব কথা প্রকাশ করেন। সালসাবিলের সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে দেওয়া হলো-
‘বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি লজ্জিত এরকম একটা দেশে জন্মগ্রহণ করে। অনুগ্রহপূর্বক বাংলাদেশ পুলিশবাহিনী যেন আজ থেকে কোনো নেশাগ্রস্থ স্টুডেন্ট বা ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার না করে অথবা শাস্তি না দেয় l আমাদের দেশের ইনফ্লুয়েন্সাররা যেখানে নিজেদের নেশাগ্রস্থ ছবি আপলোড করে এটাকে একটি ট্রেন্ডে পরিণত করেছে এবং বাংলাদেশ প্রশাসন এ বিষয়ে কিছু করতে অক্ষম, সেখানে অন্য জনগণদের নেশা এবং মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত বিষয়ে হেনস্তা করার অধিকার বাংলাদেশ পুলিশবাহিনী আর রাখে না l’
‘এমন একটি দেশে জন্মগ্রহণ করে সত্যি আমি লজ্জিত, যে দেশে নারী নির্যাতন ছেলে মানুষের পুরুষত্ব প্রমাণের মাপকাঠি l এমনকি যে দেশে একজন স্বামীর কাছে স্ত্রী নিরাপদ না, গোপনে ধারণকৃত পারসোনাল মোমেন্টের ভিডিও দিয়ে স্ত্রীকে খুব সহজেই ব্লাকমেইল করে রাখা যায় এবং তা সম্পর্কে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইমও অবহিত l’
‘যে দেশে সম্মানিত ব্যক্তিগণ কিছু সাময়িক ফেইম অর্জন করা মানুষদের কোনোরকম চেকিং ছাড়াই এয়ারপোর্ট ক্রসিং এর ব্যবস্থা করে দেয় এবং তারা নিজেদের ইচ্ছামতো ড্রাগস বাংলাদেশে নিয়ে আসে, সে দেশে পরিমনি কেন গ্রেপ্তার হবে?’
‘যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির চোখে আমার এ স্ট্যাটাস পড়ে, দয়া করে উত্তর দিয়ে যাবেন l হঠাৎ মনে হয় যে এরকম একটি আইনশৃঙ্খলাবিহীন দেশে জন্মগ্রহণ করাটাই নিজের জীবন দিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট l’
সেরা টিভি/আকিব