স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় আকস্মিক তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে আটটি ইউনিয়নের বারো হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
গত এক মাস ধরে কয়েক দফা তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে নদী ভাঙনে নিঃস্ব পরিবারগুলোর দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। মটুকপুর, চিলাখালসহ তারা ইউনিয়নে দুই হাজার ৫০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। লক্ষ্মিটারী ইউনিয়নের পশ্চিম ইচলী, বাগেরহাট ও শংকরদহ এলাকাতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে।
কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু জানান, বন্যায় বেড়িবাঁধ, পাকা রাস্তা ও ব্রিজ ভেঙে বিনবিনা এলাকায় লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। চরাঞ্চলের আবাদি জমিগুলো এখন নদীতে পরিনত হয়েছে। তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী।
এছাড়া নোহালী, গঙ্গাচড়া সদর, গজঘণ্টা, আলমবিদিতর ও মর্নেয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন চরাঞ্চলে আরও ছয় হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। যা স্বাভাবিকের থেকে ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণ করতে ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জাকারিয়া সকালে তিস্তার পানি বৃদ্ধি ও বিকেলে পানি কমার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তাপারে আকস্মিক এ বন্যার সৃষ্টি হয়।
সেরা টিভি/আকিব