অনলাইন ডেস্ক:
শখ, স্টাইল, ফ্যাশন, এমনকি পরিচয় বহন ও প্রকাশেও ট্যাটুর প্রতি ঝুঁকছেন তরুণরা। দেশে উল্কি বা ট্যাটু করার চল-প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। পারিবারিক-সামাজিক-ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির বিতর্ককে সঙ্গে নিয়েই বা উপেক্ষা করেই এগিয়ে যাচ্ছেন ট্যাটুপ্রেমীরা।
ত্বকের যে স্তর ডার্মিস নামে পরিচিত, সে স্তরেই বসছে ট্যাটুর কালি। এর সাথে সূক্ষ্ম-সুন্দর নকশা ফুঁটে উঠছে প্রতিটি টান ও প্যাঁচে। এই শিল্পসুন্দরকর্ম যিনি করছেন, তিনি সাইদুর রহমান ভূঁইয়া। যার হাত দিয়ে সৃষ্ট হয়েছে অসংখ্য উল্কি বা ট্যাটু, তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকজন ট্যাটু শিল্পী ও আঁকিয়ে। ট্যাটুশিল্পী সাইদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, দেশে এখন যারা ট্যাটু তৈরির কাজ করেন তাদের বেশিরভাগই শিল্পীই তার কাছে কাজ শিখেছেন। শখ দিয়ে সাইদুরের শুরু। পরে হয়ে গেল নেশা ও পেশা। আর আঁকলেই তো হয়ে গেল না। মানতে হয় অনেক নিয়ম, সাবধানতা, পেশাদারিত্ব।
সাইদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, অনেক সাবধানতা ও নিয়ম মেনেই ট্যাটু তৈরির কাজ করতে হয়। ভাললাগা থেকেই উল্কি বা ট্যাটু করার ইচ্ছাপূরণ করতে এসেছেন ফ্যাশন মডেল নিদ্রা দে নেহা। তিনি নিজেও লেখাপড়া করছেন চারুকলায়।
ফ্যাশন মডেল নিদ্রা দে নেহা বলেন, ‘নিজের ট্যাটুর মডেল নিজেই তৈরি করি। এরপর সাইদুর রহমানের কাছে ডিজাইন দিলে তিনি তা এঁকে দেন।’ কোনও বাধার মুখোমুখি হতে হয় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নিদ্রা দে নিহা জানান, পারিবারিক ও ধর্মীয় বাধা না থাকলেও সামাজিকভাবে শুনতে হয়েছে অনেক কটু কথা। তবে অনেকেই সবরকম বাধার মুখোমুখি হন।
সাইদুরের ট্যাটু পার্লার অবস্থিত রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ের হ্যাপি আর্কেডে। একটু বেশি বয়সের মানুষও আসেন এখানে ট্যাটু করতে। তবে প্রবণতা বেশি মূলত তরুণদের এবং দিনদিন তা বাড়ছে। এই স্রোতে শিল্পীরা চায় রাষ্ট্রের সুনজর। ট্যাটুর পাশাপাশি অনেকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে পিয়ার্সিংও করান সাইদুরের কাছে।এর চলও বাড়ছে ক্রমশ। সাইদুর নিজেও করেছেন।
সেরা টিভি/আকিব