অনলাইন ডেস্ক:
১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১। অন্য দিনের মতোই জেগে উঠেছিল নিউইয়র্ক সিটি। শুধু দিন শেষের গল্পটাই পাল্টে গিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হচ্ছে দেশটির ওপর সেই ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার (৯/১১ নামে পরিচিত) ২০তম বার্ষিকী। ভয়াবহ ওই হামলায় নিহতদের স্মরণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছাড়াও সাবেক প্রেসিডেন্টরাও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। ওই দিনটি স্মরণ করে বার্তা দিয়েছেন বিশ্বনেতাদের অনেকে।
৯/১১ ট্র্যাজেডি যার আমলে হয়েছিল সেই প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, তখন আমাদেরকে যে অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে সেই মিশ্র অনুভূতি বর্ণনা করা খুব কঠিন। তিনি আরও বলেন, ভয়াবহ এই হত্যাযজ্ঞ ও বিপদসংকেত নিয়ে গোটা বিশ্ব উচ্চকিত হলেও আচমকা অনেকের মুখের আওয়াজ থেমে যায়। যাদের কথা আর কখনো শোনা যাবে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংঘটিত সবচেয়ে বড় এই সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয় প্রায় ৩ হাজার মানুষ। ভয়াবহ এই হামলা স্তম্ভিত করে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। ঘটনাটি ছিল যেন অকল্পনীয়, এবং কী করে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে এমন একটা আক্রমণ ঘটে যেতে পারলো – কেউই যেন তা ভাবতে পারছিলেন না।
সেদিন আল-কায়েদার সন্ত্রাসীরা চারটি বিমান ছিনতাই করে। দুটি বিমান দিয়ে আঘাত করা হয় নিউইয়র্কের বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রের টুইন টাওয়ারে, একটি আঘাত করে ওয়াশিংটনের পেন্টাগনে, আরেকটি বিধ্বস্ত হয় একটি মাঠে।
১১ সেপ্টেম্বরের আক্রমণের এক বছর পর এর তদন্ত করার জন্য একটি দ্বিদলীয় কমিশন গঠিত হয়েছিল। ২০০৪ সালে তাদের প্রতিবেদনে বলেছিল যে- এ আক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নীতি, ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা এবং চিন্তার ব্যর্থতা ছিল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেভাবে কাজ করে তার ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনারও সুপারিশ করা হয়।
সেরা টিভি/আকিব