ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
নভেম্বর থেকেই সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ২০২০ সালের মার্চ থেকে কঠিনভাবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করছে দেশটি। এমনকি নিজ নাগরিকদেরও বিদেশ সফরে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। এই নীতির কারণে দেশটি বহুদিন কোভিড থেকে পুরোপুরি মুক্ত থাকতে পেরেছিল বলে মনে করা হয়। সম্প্রতি কোভিড সংক্রমণ বাড়লেও তা কখনো লাগাম ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। যদিও এমন কঠিন আইনের কারণে নানা ঝামেলায় পড়তে হয়েছে দেশটির নাগরিকদের। এ নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, এখনই সময় অস্ট্রেলীয়দের স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেয়ার।
এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষের কোভিড সনাক্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি। নতুন নিয়মে অস্ট্রেলিয়ার যে প্রদেশে ভ্যাকসিন গ্রহণের হার ৮০ শতাংশ ছাড়িয়েছে সেখানেই ভ্রমণে কোনো বাধা নেই। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। এখনই বিদেশিদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়া হবে না। তবে সরকার জানিয়েছে, তারা বিদেশিদের অস্ট্রেলিয়ায় স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন শুধুমাত্র অস্ট্রেলীয়রা দেশ ছাড়তে পারবে। তবে এ জন্য তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ কিংবা আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার মতো কারণ দেখাতে হবে। তাছাড়া নাগরিকদের দেশে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা থাকছে না আর।
এতদিন অস্ট্রেলিয়ায় বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের হোটেল কোয়ারেন্টিন কার্যকর ছিল। এটি এখন ৭ দিনের কোয়ারেন্টিন করা হচ্ছে। আর এই কোয়ারেন্টিনের জন্য হোটেলে থাকা বাধ্যতামূলক নয়। ফলে একেকজনের প্রায় ৩ হাজার মার্কিন ডলার করে খরচ কমে যাচ্ছে। তবে এই সুবিধা পাবেন শুধু ভ্যাকসিন গ্রহণকারী নাগরিকরাই। যারা ভ্যাকসিন নেননি তাদেরকে অবশ্যই হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
সেরা টিভি/আকিব