আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সরব দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। এই নতুন কমিশনের অধীনেই হবে আগামী জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচন যেন গ্রহণযোগ্য হয় এবং জনগণ যেন তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারে সেজন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় বিএনপি। রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, তামাশার কোনও নির্বাচন তারা মানবেন না।
তবে এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হলেও এ সময়ের মধ্যে আইন করে কমিশন গঠন করা সম্ভব নয়। রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন সেই কথা।
আনিসুল হক আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে এখনও আইন না হলেও রাষ্ট্রপতি যে সার্চ কমিটি গঠন করবেন সেটাও অনেকটা আইনের মতোই। কেননা আইন না হলেও রাষ্ট্রপতি যেহেতু ঐকমত্যের ভিত্তিতে সার্চ কমিটি গঠন করছেন তাই এটা আইনের কাছাকাছি। কারণ এটিও একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই হচ্ছে।
এদিকে, বাংলাদেশের সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কথা উল্লেখ করা হলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে জিল্লুর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ২০১২ সালে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে এই সার্চ কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেন জিল্লুর রহমান। ওই একই পদ্ধতি রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এখনও বহাল রেখেছেন।
সেরা টিভি/আকিব