স্টাফ রিপোর্টার:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজ খুলে কিডনি কেনা-বেচা চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সংঘবদ্ধ কিডনি কেনা-বেচার চক্র। তাদের টার্গেট কিডনির চাহিদা আছে এমন বিত্তশালী লোক এবং গরীব ও অসহায় লোক। দরিদ্র মানুষকে টার্গেট করে টাকার লোভ দেখিয়ে কিডনি বিক্রিতে উদ্ধুদ্ধ করা হয়। পরে সে কিডনি বিক্রি হয় বিত্তশালীদের কাছে। রাজধানী ও জয়পুরহাট থেকে এমন চক্রের ৫ জনকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব বলছে, দেশের বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে প্রাথমিক কাজগুলো করে ভারতে নিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজ করা হতো।
তিন ভাগে ভাগে হয় চক্রটি টার্গেট করা লোকজনকে খুঁজতে কাজ করে। এক দল বিত্তশালী যাদের কিডনির দরকার প্রথমে তাদের বের করে। অন্য গ্রুপের কাজ হলো দরিদ্র বা অসহায় লোককে খুঁজে বের করা। টাকার বিনিময়ে কিডনি দিতে চান এরকম লোককে আনা হয় ঢাকায়। আর সব যোগাযোগ হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অন্য গ্রুপের কাজ প্রতিস্থাপনের বন্দোবস্ত করা।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, সামাজিক যোগাযোম মাধ্যমে বিভিন্ন পেজ খুলে অবৈধভাবে কিডনি, লিভার প্রতিস্থাপনের কাজ করে আসছিলো। ঢাকা ও জয়পুরহাটে অভিযান চালিয়ে এ চক্রের ৫ জনকে আটক করা হয়। এরমধ্যে চক্রের অন্যতম হোতা ও পেজগুলোর অ্যাডমিন হিসেবে কাজ করা শাহরিয়ার ইমনকেও আটক করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে কিডনি দাতাদের ৪টি পাসপোর্ট, মেডিক্যাল চিকিৎসার পাসপোর্ট ও ভিসা সম্পর্কিত বেশ কিছু কাগজপত্র জব্দ করে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আরও জানান, এ চক্রের সদস্যরা কিডনি প্রতিস্থাপনের ব্যয়বাবদ গ্রহীতার কাছ থেকে ১৩-১৪ লাখ টাকা নেয়। আর প্রাথমিকভাবে কিডনিদাতাকে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা দেয়া হয়। পরবর্তীতে আশ্বাস অনুযায়ী টাকা নিতে আসলে কিডনিদাতাদের দেখানো হতো ভয়ভীতি। কিডনি জটিলতায় ভুগছেন এরকম রোগীদের সেবা প্রদানের আড়ালে তারা এই সিন্ডিকেট পরিচালনা করে আসছিল।
সেরা টিভি/আকিব