অনলাইন ডেস্ক:
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত রাজু উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের দক্ষিণ সাহরাইল গ্রামের মুসলেম উদ্দিনের ছেলে। এটনায় জড়িত তারই বন্ধু মো: আলিফ (১৫), তার মা ও বোন জামাইকে একটি শর্টগানসহ আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত আলিফ একই গ্রামের রাজু কোরাইশির ছেলে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোবইল ফোনে অনলাইন গেম পাবজি খেলাকে কেন্দ্র করে মো: রাজুর সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয় তারই বন্ধু আলিফের। এরই জেরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কৌশলে রাজুকে বাড়ি থেকে সিঙ্গাইর উপজেলার পার্শ্ববর্তী ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের রুপারচর এলাকায় নিয়ে যায় আলিফ। সেখানে তাকে শ্বাসরোধ ও ইট দিয়ে নির্মম ভাবে নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে মৃত ভেবে রাজুকে কালিগঙ্গা নদীর পাড়ে কাশবনের ভেতরে ফেলে রেখে বাড়ি চলে আসে আলিফ। পরে তার গোঙ্গানির শব্দ পান পথচারিরা। এমন খবর পেয়ে ওই দিন রাত ৯টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজুকে সেখান থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইব্রাহিম মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ওই রাতেই তাকে ঢাকার সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ শনিবার ভোরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজুর মৃত্য হয়।
সেরা টিভি।আকিব