স্পোর্টস ডেস্ক:
বাছাইপর্বের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে নামিবিয়াকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করলো শ্রীলঙ্কা। দুবাইয়ের শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে নামিবিয়ার দেওয়া ৯৭ রানের মামুলি টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ২৬ রানে তিন উইকেট হারালেও ৭৪ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেন ভানুকা রাজাপাক্ষে ও আভিস্কা ফর্নান্দো। রাজাপাক্ষে ২৭ বলে ৪২ ও ফর্নান্দো ২৮ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। রান তাড়ায় খেলতে নেমে তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নরা।
এর আগে, শ্রীলঙ্কার দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ৯৬ রানেই গুটিয়ে যায় নামিবিয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে সুবিধা করতে পারেনি প্রথমবারের মতো এ টুর্নামেন্টে জায়গা করে নেওয়া দলটি। ওমানের শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতির শুরু করলেও থিতু হতে পারেননি নামিবিয়ার ওপেনার স্টিফেন বার্ড। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে থিকশানার হাতে ক্যাচ তুলে ব্যক্তিগত ৭ রান নিয়ে সাঝঘরে ফেরেন তিনি।
ওপেনার বার্ডের ফেরার পর ওয়ান রাউন্ডে মাঠে নেমে দলের হার ধরেন ক্রেইগ উলিয়ামস। তার সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন আরেক ওপেনার জেন গ্রিন। কিন্তু বেশিক্ষন টিকতে পারলেন না তিনি। ষষ্ঠ ওভারে থিকশানার বলে শানাকার হাতে ক্যাচ তুলে ব্যক্তিগত ৮ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ব্যাটার।
দুই ওপেনার হারিয়ে যখন বিপাকে নামিবিয়া, তখন মাঠে নেমে উইলিয়ামসকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক এরাসমাস। ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করে দলকে ভালো সংগ্রহের পথে টানছিলেন এ দুই ব্যাটার। তবে ১৩তম ওভারে এরাসমুসকে শিকার করে ব্রেকথ্রু এনে দেন লাহিরু কুমারা। ব্যক্তিগত ২০ রান করে হাসারাঙ্গার হাতে ক্যাচ তুলে সাঝঘরে ফেরেন নামিবিয়ার অধিনায়ক। একই পথে হাঁটেন উইলিয়ামসও। চতুর্দশ ওভারে ব্যাক্তিগত ২৯ রান করে হাসারাঙ্গার বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি।
পরের ওভারেই করুনারত্নের শিকার হন ডেভিড ভিসে। ব্যক্তিগত ৬ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। একই পথে হাঁটেন ফ্রাইলিঙ্কও। থিকশানার স্পিন ঘূর্ণিতে ব্যাক্তিগত ২ রানের মাথায় উইকেট হারান তিনি। প্রতি ওভারে উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে নামিবিয়া।
১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে উইকেট হারান জ্যান নিকল লফটি এটনও। হাসারাঙ্গার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ব্যক্তিগত ৩ রান করেই আউট হন বাঁহাতি এই ব্যাটার। পরের ওভারেই মাত্র ১ রান করে সাঝঘরে ফিরেন রাবেন চ্যাম্পেলমান। ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই লাহিরু কুমারার শিকার হন পিক্কি ইয়া ফ্রান্স। তার ঠিক এক বল পরেই নিশানকার থ্রো’তে রান আউট হন বের্নার্ড স্কলটজ। ৩ বল বাকি থাকতেই মাত্র ৯৬ রানে গুটিয়ে যায় নামিবিয়া।
সেরা টিভি/আকিব