পুরোনো রোগটা জেকে বসলো আজও ফলাফল ও সেই একই।জোড়ায় জোড়ায় আউট হওয়ার রোগ। সে রোগটা এমন এক ম্যাচেই ফিরে আসবে সেটা কে জানত? ভারতের দেওয়া ১৭৫ রানের লক্ষ্য ছুঁতে গিয়ে জোড়ায় জোড়ায় উইকেট হারিয়ে হাত থেকে জয়টা ছুড়ে দিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। অনায়াস জয় দেখতে থাকা এক ম্যাচেও ৩৩ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ।
শুরুটা লিটন ও সৌম্যকে দিয়ে। দীপক চাহারকে বিশ্বমানের এক স্পেল উপহার দেওয়ার পেছনে মূল অবদান এ দুজনের। তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলটা মাঠের যে কোনো প্রান্তে পাঠানো যেত। লিটন ওয়াশিংটন সুন্দরের কাছেই পাঠালেন। পরের বলেই আউট সৌম্যও। ৯৮ রানের জুটি গড়া মিঠুন আউট হলেন ১৩তম ওভারের শেষ বলে। ওই চাহারের বলেই। পরের বল অর্থাৎ চতুর্দশ ওভারের প্রথম বলেই শিভাম দুবের বলকে স্টাম্পে টেনে আনলেন মুশফিক। তলানিতে পড়ে থাকা আত্মবিশ্বাস সঙ্গে সঙ্গে আকাশে উঠল দুবের।
সে আত্মবিশ্বাসের প্রকাশ পেল ১৬তম ওভারে। অসাধারণ এক ইনিংস খেলা নাঈমকে দিনের সেরা বলটায় বোল্ড করলেন দুবে। ঠিক পরের বলেই দুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে এলেন আফিফ। প্রথম ৯ বলে ২১ রান দেওয়া দুবেই কিনা স্পেল শেষ করলেন ৩০ রান দিয়ে, সঙ্গে ৩ উইকেট! মাহমুদউল্লাহ আউট হয়েছেন পরের ওভারের পঞ্চম বলে। লেগ স্পিন খেলতে না পারার কথা আরেকবার স্বীকার করে বোল্ড হয়েছেন অধিনায়ক। পরের বলেই জোড়ার নিয়মে হাটতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জোরালো শটটা হাতে রাখতে পারেননি চাহাল। শেষ দুই উইকেটও পড়েছে টানা দুই বলে! যা দিয়ে দীপক চাহারের ইতিহাসও হয়ে গেল। প্রথম ভারতীয় হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক হলো কারও।
অথচ জয়ের কতটাই না কাছে ছিল বাংলাদেশ। যে উইকেটে অন্যরা রান তুলতে হাপিত্যেশ করছেন, সেখানে অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছেন মোহাম্মদ নাঈম। ১২ রানে দুই উইকেটের পতনের পর তৃতীয় উইকেটে এসেছে ৯৮ রান। এর কৃতিত্ব মিঠুন নিতে পারবেন না। টি-টোয়েন্টিতে ২৯ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে সেটা সম্ভব নয়। তবু বাংলাদেশ যে শেষ ৮ ওভারে মাত্র ৬৯ রামের দূরত্বে ছিল, তার কারণ ওই নাঈম। নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজ। আগের দুই ম্যাচে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি। আর কঠিন এক উইকেটে খেলা। অন্য প্রান্তে লিটন-সৌম্যের আত্মহত্যা। এমন অবস্থায় কী ইনিংসটাই না খেললেন।