স্টাফ রিপোর্টার:
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় রায়পুর ইউনিয়নে দ্বিতীয় দফা ইউপি নির্বাচনে রাজাকারপুত্র বিল্লাল হোসেনকে মনোনয়ন দেয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। রবিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রায়পুর ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন করা হয়। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাঘারপাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান আলীর নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা বলেন, দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজাকার পরিবারের সদস্যদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধীরা স্থানীয় সরকারে প্রতিনিধিত্ব করবে এটা আমরা আশা করি না। এটা জাতির জন্য কলংকজনক। অবিলম্বে তার মনোনয়ন বাতিল করে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী বলেন, বিল্লাল হোসেনের বাবা কুখ্যাত রাজাকার মোহাম্মদ আলী। উপজেলা কমিটি থেকে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় বিল্লাল হোসেনকে রাজাকারের ছেলে বলে সুপারিশও করা হয়েছিল। তার পরেও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড তাকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিরা স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের জনপ্রতিনিধি করার সুযোগ দিচ্ছে। এটা খুবই লজ্জাজনক।
অভিযোগ উঠেছে, বিল্লাল হোসেন স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতাকারী তৎকালীন শান্তি কমিটির স্থানীয় সভাপতি মোহাম্মদ আলীর ছেলে। স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতাকারীর ছেলে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হতবাক। রাজাকারের সন্তানকে নৌকার প্রতীক দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে রায়পুর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
এদিকে, যশোরের মণিরামপুরে চালুয়াহাটি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী করা হয়েছে উপজেলার আটঘরা গ্রামের দিনু রাজাকারের ছেলে আবুল ইসলামকে। যশোরে দুই রাজাকারের ছেলে নৌকা প্রতীক পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে। এ দুই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে স্থানীয়রা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে রাজাকার পুত্রদের মনোনয়ন বাতিলের জোর দাবি জানিয়েছেন।
সেরা টিভি/আকিব