লঙ্কানদের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ করেও শেষ রক্ষা হয়নি টিম টাইগার্সের। লঙ্কানদের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরে বিশ্বকাপের মূলপর্বের যাত্রা শুরু করল লাল-সবুজ বাহিনী।
ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দুটি ক্যাচ মিস করে শ্রীলঙ্কার জয়কে সহজ করে দিয়েছেন ব্যাট হাতে ব্যর্থ টাইগার ওপেনার লিটন দাস। তার হাতে জীবন পাওয়া লঙ্কান আসালাঙ্কার ব্যাটে ভর করেই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। অথচ গল্পটা অন্যরকমও হতে পারত।
ব্যাট হাতে বড় সংগ্রহের পর বল হাতেও এদিন স্বপ্নের মতো শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই কুশাল পেরেরাকে ফেরান নাসুম আহমেদ। আউট হওয়ার আগে ৩ বলে ১ রান করেছেন কুশাল।
কুশাল পেরেরা ফেরার পর তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসেন বাঁ-হাতি চরিত আসালাঙ্কা। প্রথম ওভারেই ব্রেকথ্রু এনে দেওয়ার পর ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আবারও বল হাতে আসেন নাসুম। দুই ছয়ে দিয়েছেন ১৬ রান। আর এই ওভারের পরই হাত খুলে খেলা শুরু করে লঙ্কান ব্যাটাররা।
শেষ পর্যন্ত পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৪ রান সংগ্রহ করে দাসুন শানাকার দল। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের তুলনায় বেশ খানিকটা এগিয়ে থাকল লঙ্কানরা। প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছিল ৪১ রান।
নিসাঙ্কা-আসালাঙ্কার জুটি চোখ রাঙাচ্ছিল বাংলাদেশকে। এমন সময়ই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব বল হাতে এগিয়ে এলেন। ভাঙেন মূল্যবান জুটি। স্বস্তিতে ফেরালেন দলকে। আর এই উইকেটের মধ্য দিয়ে এখন টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরে শহীদ আফ্রিদিকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক তিনি। বিশ্বকাপে আফ্রিদির ৩৯ উইকেট ছাড়িয়ে গিয়ে বাংলাদেশ অলরাউন্ডারের উইকেটসংখ্যা এখন ৪১। এদিন নিজের দ্বিতীয় ওভারে প্রথমে নিসাঙ্কাকে বোল্ড করার পর ফেরান আভিস্কা ফার্নান্দোকেও।
সাকিবের জোড়া আঘাতের পর উইকেটের দেখা পেলেন সাইফউদ্দিনও। অফস্টাম্পে স্লোয়ার বল, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা সেটা তুলে দেন আকাশে। বাউন্ডারি থেকে ছুটে এসে ক্যাচটা নিতে খুব একটা ঝামেলায় পড়তে হয়নি নাঈমকে। সাকিব মোমেন্টাম এনে দিয়েছিলেন, সাইফউদ্দিনে আরেকটু এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। ৭৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
এর আগে নাইম শেখের ৫২ বলে ৬২ আর মুশফিকুর রহিমের ৩৭ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেটে ১৭১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল বাংলাদেশ।
লিটন দাস ১৬ বলে ১৬, সাকিব আল হাসান ৭ বলে ১০, আফিফ হোসেন ৬ বলে ৭ আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শেষদিকে নেমে ৫ বলে ২ বাউন্ডারিতে করেন অপরাজিত ১০ রান।
সেরা টিভি/আকিব