রবিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারোয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে ক্ষমা প্রার্থনা করে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করেন তারা। দুপুর ২টার পর শুনানি শেষে আগামী ২৫শে নভেম্বর এ সংক্রান্ত নির্দেশ দেয়ার দিন ঠিক করেছেন উচ্চ আদালত।
গত ২৪শে অক্টোবর নায়িকা পরীমনির রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিলের জন্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুই বিচারক হাইকোর্টে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে তাদের ব্যাখ্যা দাখিলে দুই বিচারককে আরও এক সপ্তাহ সময় দেন হাইকোর্ট। নির্ধারিত দিনে ব্যাখ্যা দাখিলে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট ভার্চুয়াল বেঞ্চ সময় মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
গত ২৮শে সেপ্টেম্বর চিত্রনায়িকা পরীমণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানোর ঘটনায় দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলামকে পুনরায় লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এর আগে, ২৯শে আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের রায় না মেনে পরীমণিকে বারবার রিমান্ডে নেয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের স্বপ্রণোদিত আদেশ প্রার্থনা করে একটি আবেদন করেন মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন।
গত ৩১শে আগস্ট পরীমণিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত। পরে ১লা সেপ্টেম্বর কাশিমপুরের মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি মেলে পরীমণির।
গত ৪ঠা আগস্ট পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা হয়। এ মামলায় পরীমনিকে প্রথমে চারদিন, দ্বিতীয় দফায় দুদিন, তৃতীয় দফায় একদিনসহ মোট সাতদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।