বুধবার বিকেল ৪টার দিকে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চন্দন কান্তি নাথ এ আদেশ দেন। এর আগে, বেলা আড়াইটার দিকে তাদেরকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে সিআইডি। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৩শে অক্টোবর দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপার আদালতে ইকবালসহ চারজনকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সাতদিনের রিমান্ড শেষে ২৯শে অক্টোবর বিকেল পৌনে ৩টায় তাদের কুমিল্লার আদালতে হাজির করে পুনরায় সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। এ সময় আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মঙ্গলবার পাঁচদিনের রিমান্ড শেষ হয়।
এদিকে, ঠাকুরপাড়া মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলা মামলায় ১৮ আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। সকালে একই আদালতে আসামিদের হাজির করে পুলিশ সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে।
গত ১৩ই অক্টোবর নগরীর নানুয়ারদীঘির পাড় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় কুমিল্লা নগরের কয়েকটি পূজামণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর জেরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, নোয়াখালীর চৌমুহনী, রংপুরের পীরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশের সংগ্রহকৃত সিসিটিভির ফুটেজের মাধ্যমে পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা প্রধান অভিযুক্ত ইকবালকে শনাক্ত করে পুলিশ। ২১শে অক্টোবর তাকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পরদিন কুমিল্লা আনা হয়।
সেরা টিভি/আকিব