স্টাফ রিপোর্টার:
শরিকদের নিষ্ক্রিয়তা আর ব্যর্থতায় ডুবেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এমন মন্তব্য করেছেন ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ডক্টর কামাল হোসেন। হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি ঐক্যফ্রন্টের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়েও। অন্যদিকে, ঐক্যফ্রন্টের শরিক বিএনপি বলছে, সরকার পতনে আন্দোলন হলে তার নেতৃত্ব বিএনপির হাতেই থাকা উচিত।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে হতাশাই ঝরল গণফোরাম সভাপতি ও ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ডক্টর কামাল হোসেনের কণ্ঠে। যার নেতৃত্বে ২০১৮ সালের ১৩ই অক্টোবর বিএনপিসহ কয়েকটি দল নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। অংশ নিয়েছিল একাদশ জাতীয় নির্বাচনে। সারাদেশে মাত্র ৬টি আসনে বিজয়ী হয়েছিল তাদের প্রার্থীরা। এরপরই ছন্দপতন। এখন এর অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
ড. কামাল বলেন, নামকাওয়াস্তে আছে তবে ফ্রন্টের কার্যকারিতা নেই। সঠিক মূল্যায়ন করলে একেকটা জিনিস চিহ্নিত করতে হয়। মানুষের আগ্রহ ছিলো না এই রাজনীতির দিকে এগিয়ে আসার। তৈরি করলে সবাইকে অবদান রাখতে হয়, সচেষ্ট থাকতে হয়। এটা যদি না হয় তাহলে এটা সকলেরই ব্যর্থতা। যারা বলছেন এটা তাদেরও ব্যর্থতা। তারা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে থাকলে তাদেরও একটা অবদার রাখার কথা।
ব্যর্থতা নিয়ে কামালের এই দাবি নাকচ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। তিনি বলেন, তারা হলেন কিছু জ্ঞানী গুনী শিক্ষিত লোক তারা তো এক্টিভ হওয়ার ক্ষমতা রাখেনা। মান্নার কি লোক আছে? জাসদের রবের কি আগের মত গণশক্তি আছে? ড. কামালের আছে? কিন্তু তারা শিক্ষিত লোক, সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও রাষ্ট্র সম্পর্কে তারা সুচিন্তা করে। কামাল ব্যর্থ না, বিএনপি ব্যর্থ না, অন্য কেউ ব্যর্থ না। আমাদের ব্যর্থ করেছে রাষ্ট্রযন্ত্র, রাষ্ট্রযন্ত্রের অসামর্থতা, শপথ বাক্য পাঠ করে শপথ বাক্যের অবহেলা। যার জন্য সকলেই আমরা ব্যর্থ।
নেতারা বলছেন ঐক্য বিএনপিও চায়। তা হতে হবে তাদেরই নেতৃত্বে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, ঐক্যফ্রন্টের অবশ্যই প্রয়োজনীয়তা আছে, এর নেতা হতে হবে বিএনপির একজনকে। বিএনপির একজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা যদি ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন তাহলে এটাকে কেন্দ্র করেই সরকারবিরোধী আন্দোলন দানা বাঁধতে পারে। কারণ জনগণ প্রস্তুত আছে একটি আন্দোলনের জন্য। তারা দেখতে চায় নেতা কারা। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় আর বিএনপি জেতে তাহলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন। গত বছর তো এ প্রশ্নের জবাব আমরা দিতে পারিনি।
ঐক্য ধরে রাখতে চান ডক্টর কামাল নিজেও। তবে, জোর করে কখনই ঐক্য হয় না বলেও জানান এই প্রবীণ রাজনীতিক।
ডক্টর কামাল হোসেন আরো বলেন, এটা তো সকলেরই স্বেচ্ছায় আসার কথা। জোর করে কাউকে তো ঐক্যফ্রন্টে আনা যাবেনা। এখানে আমাদের সঙ্গে যাদের কাজ করার কথা তারা সক্রিয় হয়নি সেভাবে নিষ্ক্রিয় হয়েছে। তারা যদি আবার সক্রিয় হয় তাহলে এটা আবার জাগতে পারে।
সেরা টিভি/আকিব