ডেস্ক রিপোর্ট:
সম্প্রতি দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যুৎ-ডিজেলসহ নানা ক্ষেত্রে বছরে ৫৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় সরকার। তাই আর কত ভর্তুকি দেবে সরকার? যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফর নিয়ে বুধবার বিকাল ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় আসার পর জিয়াউর রহমান বেছে বেছে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছেন। বিচারবহির্ভূত হত্যার প্রতিটির বিচার করা হচ্ছে এখন।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাসের ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে আনা হয়েছে। দেশের মানুষের কষ্ট হয় এমন কোনও সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
শেখ হাসিনা আরও জানান, ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেউ বিশৃঙ্খলা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দলের বাইরে যারা কাজ করছে, যারা নির্বাচনে চালাকি করে দলীয়ভাবে কাজ করে বিশৃঙ্খলা করছে তাদের বিচার করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কপ সম্মেলনের দুইদিনে আমি ৬টি বহুপাক্ষিক সভা ও ৫টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেই। আমি বিশ্ব নেতৃত্বকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিযে ৫ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করি। এগুলো হলো: প্রধান প্রধান কার্বন নির্গমন দেশসমূহকে উচ্চাভিলাষী এনডিসি প্রণয়ন, উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য ৫০:৫০ অনুপাতে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুত অর্থায়ন নিশ্চিত করা, পরিবেশবান্ধব উন্নত প্রযুক্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা, লস ও ড্যামেজসহ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সমস্যার সমাধানে একযোগে কাজ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলা। এবারের সম্মেলনের উল্রেখযোগ্য প্রাপ্তি হচ্ছে বাংলাদেশসহ ১৪১টি দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে সকল ধরনের অরণ্য নিধন রোধে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়।
তিনি আরও জানান, বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমি বিল গেটসকে বাংলাদেশের স্থানীয় অভিযোজন মডেলগুলোকে গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ অন্যান্য দেশসমূহে কাজে লাগানোর আহ্বান জানাই। স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের বলিষ্ঠ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়া যুক্তারাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে জলবায়ু ইস্যু ছাড়াও বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ভ্যাক্সিন কূটনীতি, রোহিঙ্গা সংকট এবং অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হয়। কম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ হয়েও জলবায়ু বিপর্যয়ের ফলে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ।
সেরা টিভি/আকিব