বৃহস্পতিবার, ১৬ই ডিসেম্বর, বিজয় দিবসের বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে তিনি এই শপথ পড়ান। সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে তা সমন্বয় করেছেন বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা।
মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশকে স্বাধীন ও শত্রুমুক্ত করার শপথ নেয়া হয়েছিল, পরবর্তীতে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামে নতুন রাষ্ট্র গঠন হয়। এরপর পার হলো ৫০ বছর। সময় খুব বেশি না, আবার কমও না। আর তা পালন ও উদযাপন করতে শপথ করলেন সর্বস্তরের মানুষ।
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় উপস্থিত থেকে ভার্চুয়ালি প্রতি জেলার সঙ্গে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। প্রতি জেলায় নির্দিষ্ট একটি স্থানে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারসহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। একযোগে সবাইকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী।
শপথ ছাড়াও একই অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত এবং সমবেত সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। এরপর বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। পুরো অনুষ্ঠান সফল করতে প্রস্তুত ছিলেন ৬৪ জেলার প্রশাসন।
শপথ অনুষ্ঠানের পরপর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে চলে বিশেষ অনুষ্ঠান, যেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, সকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজসহ ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়েছে।
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর শপথ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।
আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষের বিজয় দিবসে দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহিদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না- দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।
সেরা টিভি/আকিব