ধারন ক্ষমতার ৩ গুন বেশি যাত্রী বহন করছিল অভিযান ১০ - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
ধারন ক্ষমতার ৩ গুন বেশি যাত্রী বহন করছিল অভিযান ১০ - Shera TV
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৪ অপরাহ্ন

ধারন ক্ষমতার ৩ গুন বেশি যাত্রী বহন করছিল অভিযান ১০

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার:

এমভি অভিযান ১০ লঞ্চটি ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনা রওনা হয়েছিলো বলে অভিযোগ করেছেন বেঁচে ফিরে আসা যাত্রীরা। একই সাথে লঞ্চের ভিতরে অগ্নিনির্বাপনের ছিল কোন ব্যবস্থা। অগ্নি নির্বাপনের জন্য গ্যাস সিলিন্ডার থাকলেও সেগুলো ছিল বিকল। তবে বিআইডব্লিউটি থেকে জানানো হয়েছে ৩১০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিলো লঞ্চটি। যাত্রীদের দাবি, প্রায় ৮০০-৯০০ মতো যাত্রী ছিল।

জানা যায়, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুন লাগা এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ছাড়ার সময় ৩১০ জন যাত্রীর ঘোষণা দেয়। তবে এর তিনগুণেরও বেশি যাত্রী ছিলো লঞ্চটিতে, বলছেন উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা। লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দাবি লঞ্চটির ধারণ ক্ষমতা ৯০০ জন।

লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে ফিরে আসা যাত্রী নার্সিং এর ছাত্রী আঞ্জুমান আরা বলেন, লঞ্চটি ঢাকা থেকে ছাড়ার পরপরই লঞ্চের ফ্লোর গরম হতে থাকে। এ সময় লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি যাত্রীরা জানালেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। পরে যাত্রীদের নিবৃত করে কম্বল বিছিয়ে দিয়েছিলো ফ্লোরে। এরপর ক্রমান্বয়ে গরম হতে থাকলেও শীতের তীব্রতার কারণে তা টের পাওয়া যায়নি। তবে শুরুতেই যখন লঞ্চটি গরম হচ্ছিল তখন ব্যবস্থা নিলে হয়তো এতো প্রাণহানি দেখতে হতো না।

আরেক যাত্রী হাবিবুর রহমান বলেন, আমি ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে বরগুনা যাইতেছিলাম। লঞ্চে দেরিতে আসার কারণে কেবিন না পাওয়ায় নিচ তলার ডেকে অবস্থান নেই। লঞ্চ যখন গরম হতে শুরু করে তখন সেখান থেকে সরে গিয়ে লঞ্চের সম্মুখভাগে যাই। এরপর মাঝখানে একবার ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ মানুষের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। এরপর শুনতে পাই বিস্ফোরণের শব্দ।  লঞ্চে আগুন লাগে তখুনি লঞ্চ থেকে লাফিয়ে নদী থেকে সাঁতরে তীরে উঠি। এরপর স্থানীয়দের মাধ্যমে স্বজনদের খবর দিলে তারা গিয়ে আমাকে নিয়ে আসেন।

নৌপথে দক্ষিণাঞ্চলের ঢাকা-বরগুনা রুটের যাত্রী পরিবহনে বছর দুয়েক আগে চালু হয় বিলাসবহুল এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ। বরিশালসহ, বরগুনার, বেতাগী কাঁকচিড়া ঘাটে যাত্রীর আসা নেওয়া করত নৌযানটি। মাত্র দিন পনেরো আগে মেরামতের কাজ হয়। এরপর চারটি ট্রিপ সম্পন্ন করে ৯০০ যাত্রী ধারণাক্ষমতার লঞ্চটি।

অভিযান-১০ লঞ্চে চলাচলকারী বেশিরভাগ যাত্রী বরগুনা জেলা ও এর আশপাশের এলাকার। আগুনের ঘটনায় হতাহতের বেশিরভাগই বরগুনা জেলার।

ঝালকাঠি মায়ের দোয়া ডিজেল প্রোপাইটার রাজু ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার লোকজনের একটু চাপ বেশিই থাকে। যখন আগুন লাগছে আমি নিজেই প্রায় ১০০জন লোক উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছি। তবে লঞ্চটিতে প্রায় ৯শ এর মতে যাত্রী ছিলো

এ বিষয়ে লঞ্চ মালিক হাম জালালের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বরগুনা পাবলিক পলিসি ফোরামের আহ্বায়ক মো. হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, এই লঞ্চটি এর আগেও একবার চরে উঠিয়ে দিয়েছিলো। আমার মনে হয় লঞ্চ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এতগুলো নিরীহ প্রাণ একসাথে ঝরে গেল।

সেরা টিভি/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360